ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ। দেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা এ স্বীকৃতি পেয়েছে। রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পয়েন্টার ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজমের অঙ্গসংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) গত ২৮ জুলাই তাদের এ স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীন ও মানসম্মত তথ্য যাচাই কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে পয়েন্টার ইনস্টিটিউটের অঙ্গসংগঠন আইএফসিএন পাঁচটি মূলনীতির ভিত্তিতে কোনো তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে নিরপেক্ষতা ও ন্যায্যতা, তথ্যের উৎসের গুণগতমান ও স্বচ্ছতা, অর্থায়ন ও সংস্থার স্বচ্ছতা, যাচাইপদ্ধতির মান ও স্বচ্ছতা এবং উন্মুক্ত ও সৎ সংশোধন নীতি। এই ৫টি মূলনীতি ও ৩১টি মানদণ্ড মেনে চললে আইএফসিএন স্বীকৃতি দেয়।
রিউমার স্ক্যানারের প্রতিষ্ঠাতা সুমন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে করোনা মহামারি শুরু হয় গত বছরের মার্চে। তাঁদের যাত্রাও শুরু একই সময়ে। সে সময় দেশে লকডাউন দেওয়ার কারণে মানুষ ঘরে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে আরও বেশি সক্রিয় হয়। তাঁর সঙ্গে অনলাইনে ভুয়া তথ্যের প্রচারও ছড়াতে থাকে। শুরু থেকেই তাঁরা তথ্য যাচাইয়ে কাজ করেন। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কাজকে আরও বেগবান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রিউমার স্ক্যানার দাবি করছে, প্রতিষ্ঠার দুই মাসের মধ্যেই তারা করোনা নিয়ে ছড়ানো প্রায় ২৫টি গুজব শনাক্ত করেছে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত তারা ২০০টি গুজব শনাক্ত করেছে।