ফেসবুকের অফিসে সাধারণ দর্শনার্থীদের ভ্রমণে কড়াকড়ি করা হয়েছে। ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, কর্মীদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে সামাজিক পরিদর্শনে আসা সব দর্শনার্থীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে ৩৫টি দেশে ফেসবুকের কার্যালয় রয়েছে। এসব কার্যালয়ে বাইরের কোনো লোক ঢুকতে পারছেন না।
ফেসবুকের একজন মুখপাত্র প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জকে জানিয়েছেন, ফেসবুক কর্মীদের করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফেসবুকের সব অফিসে দর্শনার্থীদের ঢোকা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ব্যবসায়িক কাজে কেউ অফিসে আসতে পারবেন। চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্যও কাউকে ফেসবুকের অফিসে ডাকা হবে না। অধিকাংশ চাকরির সাক্ষাৎকার অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
গত মাসেই করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কায় ফেসবুকের পক্ষ থেকে তাদের বড় অনুষ্ঠান বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলন এফ ৮ বন্ধ করা হয়। আগামী ৫ মে দুই দিনের সম্মেলনটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। গত বছর একই সম্মেলনে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিল।
ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম পার্টনারশিপের পরিচালক কনস্ট্যান্টিনোস পাপামিলটিয়াদিস জানান, এফ ৮ সম্মেলনের বদলে স্থানীয়ভাবে ছোটখাটো আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের। একই সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স, লাইভ স্ট্রিমিংয়ে কনটেন্ট সম্প্রচার করা হবে বলে জানান তিনি।
ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানান, কর্মীদের চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালিতে ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফেসবুক। এদিকে আগামী মে মাসে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মাইক্রোসফট।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোয় এ মাসে অনুষ্ঠেয় ভিডিও গেম নির্মাতাদের সম্মেলন বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে আয়োজকেরা। সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে ‘গ্রীষ্মের শেষ দিকে’ গেম ডেভেলপার্স কনফারেন্স (জিডিসি) নামের সম্মেলনটি আয়োজন করা হতে পারে বলে জানানো হয়।
ব্লগ পোস্টে করোনাভাইরাসের উল্লেখ করা হয়নি। তবে ভাইরাসটির আশঙ্কাতেই সম্প্রতি একে একে এ সম্মেলনে কর্মী পাঠাতে অস্বীকৃত জানাতে শুরু করে মাইক্রোসফট, ইউনিটি, এপিক, আমাজন, ফেসবুক ও সনির মতো করপোরেট পৃষ্ঠপোষকেরা।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে গুগল, আমাজন ও টুইটারের পক্ষ থেকে কর্মীদের ভ্রমণের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফেসবুকের আগে থেকেই আমাজন তাদের চাকরির সাক্ষাৎকার ভিডিও কনফারেন্সে নেওয়া শুরু করেছে।
গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস চীনে ছড়ানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত এতে ৮৯ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।