তথ্যপ্রযুক্তিতে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। ২০২১ সাল নাগাদ ৫-জি প্রযুক্তি চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে রোবটিকস, ইন্টারনেট অব থিংস, বিগ ডেটা, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মতো নানা বিষয় মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে শুরু করবে। তাই পেছনের দিকে না তাকিয়ে দেশের তরুণদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। নতুন প্রযুক্তির দিকে তাকাতে হবে। সে জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা বলেন।
আজ রোববার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে চীনা প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে আয়োজিত তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার কর্মসূচি বা করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির (সিএসআর) আয়োজন সিডস ফর দ্য ফিউচার-২০১৯ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দেশের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে কাজ করছে। তাদের সিএসআর প্রোগ্রাম সিডস ফর দ্য ফিউচার তরুণদের অনুপ্রেরণা দিতে পারে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে ডিজিটাল রূপান্তর ঘটে গেছে। নতুন প্রযুক্তি আসছে। বিশ্বজুড়ে ৫-জি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ চলছে। আমরাও ইতিমধ্যে হুয়াওয়ের সঙ্গে এ প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছি। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৫-জি চালু করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের (বাংলাদেশ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং জেংজুন বলেন, বাংলাদেশের তরুণেরা সম্ভাবনাময়। হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার তরুণদের নতুন চিন্তা ও উদ্ভাবনে সহায়তা করবে। ২০১৪ সাল থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এ কর্মসূচি চালু করে হুয়াওয়ে। দেশের পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ শিক্ষার্থীকে বাছাই করে। তাঁরা চীনে হুয়াওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ পান এবং হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয় ভ্রমণের সুযোগ পান। বিশ্বের ১০৮টি দেশে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে হুয়াওয়ে।
হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণ প্রতিভা তৈরিতে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ জনকে বাছাই করবে। হুয়াওয়ের নির্বাচনী টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুষদের নির্বাচকমণ্ডলীকে সঙ্গে নিয়ে বাছাইয়ের কাজটি করবে।