অফিসে পুরোনো ফ্যাক্স মেশিন ব্যবহার করছেন? প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, পুরোনো ফ্যাক্স মেশিনকে লক্ষ্য করতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা। কোনো প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কে ঢুকে পড়ার ব্যাকডোর বা পেছনের রাস্তা হিসেবে পুরোনো ফ্যাক্স মেশিন এখন হ্যাকারদের পছন্দের যন্ত্র।
ইসরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান চেক পয়েন্টের বিশেষজ্ঞরা পুরোনো ফ্যাক্স মেশিনের নিরাপত্তা ত্রুটি খুঁজে পেয়েছেন। তাঁদের দাবি, বিশ্বজুড়ে লাখো ফ্যাক্স মেশিনে ওই ত্রুটি রয়ে গেছে, যা হ্যাকারদের জন্য নেটওয়ার্কে ঢোকার রাস্তা করে দিতে পারে। দ্য স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফ্যাক্স মেশিন হ্যাক করতে ফোন লাইনের মাধ্যমে একটি ইমেজ ফাইল পাঠায় হ্যাকাররা। অথবা এমন ফাইল পাঠায়, যা যন্ত্র তা ইমেজ ফাইল হিসেবে গ্রহণ করে। ওই ইমেজ ফাইলের ভেতরে ক্ষতির সফটওয়্যার প্রোগ্রাম কোড করা থাকে। যখন ওই ছবি গ্রহণ করা হয়, তখন ছবি ডিকোডেড হয়ে ফ্যাক্স বা প্রিন্টারের মেমোরিতে জায়গা করে নেয়। এতে হ্যাকাররা ওই যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় এবং পুরো নেটওয়ার্কে ওই কোড ছড়িয়ে দেয়।
চেক পয়েন্টের গবেষক ইয়ানিভ বালমাস বলেন, নেটওয়ার্কের সঙ্গে ফ্যাক্স মেশিন যুক্ত আছে—এমন কথা অনেক কোম্পানির মাথায় থাকে না। কিন্তু বড় বড় অফিসে ফ্যাক্স সুবিধা থাকে।
এর মধ্যে অনেক অফিসের পুরোনো ফ্যাক্স মেশিন আছে, যা হালনাগাদ করা যায় না। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য তাদের সিস্টেমে হ্যাকারদের ঢোকা ঠেকানো কষ্টসাধ্য।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সাড়ে চার কোটির মতো ফ্যাক্স মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যাংকিং, স্বাস্থ্য খাত, আইনি প্রতিষ্ঠানসহ যেসব প্রতিষ্ঠানে স্পর্শ কাতার তথ্য থাকে, সেখানেও ফ্যাক্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ফ্যাক্স মেশিন হালনাগাদ উপযোগী কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ফ্যাক্স ডিভাইসকে নিরাপদ নেটওয়ার্কে রাখতে হবে। যে নেটওয়ার্কে স্পর্শকাতর তথ্য থাকে, সে নেটওয়ার্কের সঙ্গে ফ্যাক্স নেটওয়ার্ক না রাখাই ভালো।