জেমস বন্ডের সঙ্গে এক জায়গায় নিজের মিল খুঁজতে পারেন। গেল বছরটা অনেকের মতো ডাবল-ও সেভেনেরও ভালো যায়নি। বড় পর্দায় যাওয়া দূরের কথা, পর্দার আড়াল থেকেই বেরোতে পারেনি। আর সে কারণেই এবার চাপ আসছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে।
জেমস বন্ড সিরিজের নতুন চলচ্চিত্র ‘নো টাইম টু ডাই’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল গত বছরের এপ্রিলে। এরপর মুক্তির তারিখ তিনবার পিছিয়ে এখন পর্যন্ত আগামী অক্টোবরে ধার্য করা হয়েছে। এতে ভক্তদের মনে খানিকটা দুশ্চিন্তা আস্তানা গেড়েছে—আদৌ মুক্তি পাবে তো? আর এবার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চলচ্চিত্রটির বিজ্ঞাপনদাতারা।
চলচ্চিত্রের দৃশ্যে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনে জেমস বন্ড নির্মাতারা মোটামুটি সিদ্ধহস্ত। আর তা নিয়েই এবার তাদের হাত সেদ্ধ হওয়ার জোগাড়। উদাহরণ হিসেবে মুঠোফোন তৈরির ব্র্যান্ড নকিয়ার কথা বলা যেতে পারে এখানে।
নকিয়া ব্র্যান্ডের মুঠোফোন তৈরি করে এইচএমডি গ্লোবাল। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিল, নো টাইম টু ডাই চলচ্চিত্রে নোমি চরিত্রে লাশানা লিঞ্চের হাতে দেখা যাবে নকিয়া ৮.৩ ফাইভ-জি স্মার্টফোন। সঙ্গে থাকবে নকিয়া ৭.২। ঠিক সময়ে চলচ্চিত্র মুক্তি পেলে সেগুলো হতো নকিয়ার সর্বশেষ (নিদেনপক্ষে সাম্প্রতিক) সংযোজন।
মুক্তির তারিখ পেছানোয় বন্ডের হাতে আর ‘লেটেস্ট’ মডেলের ফোন দেখতে পাবে না দর্শক। সমস্যাটা সেখানেই। ২০২১ সালের অক্টোবরে ২০১৯ সালে বাজারে আসা নকিয়া ৭.২ দেখে দর্শক ভাববেটা কী?
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান লিখেছে, বন্ডের হাতে সর্বশেষ পণ্য তুলতে চলচ্চিত্রটির কিছু দৃশ্য হয়তো আবারও ধারণ করা হতে পারে। অবশ্য দৃশগুলো সম্পাদনা করাও একটা সম্ভাব্য সমাধান বলে জানানো হয়েছে। কারণ, বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বশেষ পণ্য দেখাতে চায়, পুরোনো নয়।
এরই মধ্যে সে উদাহরণ আমরা দেখেছি। ২০২০ সালের মার্চে দেখানো বিজ্ঞাপনে নকিয়া ৫.৩ স্মার্টফোন হাতে দেখা যায় নো টাইম টু ডাই চলচ্চিত্রের তারকা লাশানা লিঞ্চকে। গত সেপ্টেম্বরে বিজ্ঞাপনটির আরেক সংস্করণে সবকিছু ঠিক রেখে কেবল লাশানার হাতের স্মার্টফোন বদলে নকিয়া ৮.৩ ফাইভ-জি জুড়ে দেওয়া হয়।
নকিয়ার জন্য অবশ্য একটি সুখবর আছে। চলচ্চিত্রটিতে দেখানো অন্তত একটি ফোন সহজে পুরোনো হওয়ার নয়। শোনা যাচ্ছে, নো টাইম টু ডাই চলচ্চিত্রে সেই ২০০০ সালে বাজারে আসা নকিয়া ৩৩১০ মডেলের ফোনটিও দেখা যাবে।