যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা বলছেন, প্লুটোয় তারা হিমায়িত মিথেনের বালিয়াড়ির প্রমাণ পেয়েছেন। তাঁদের গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁরা সেখানে বলেছেন, প্লুটো সম্পর্কে আগে যা ভাবা হতো তার তুলনায় এটি আরও বেশি গতিশীল।
আগে ধারণা করা হতো, পৃথিবীর মরুভূমির মতো বৈশিষ্ট্য তৈরির ক্ষেত্রে প্লুটোর আবহাওয়া অনেক বেশি পাতলা। কিন্তু নাসার মহাকাশযান নিউ হরাইজনসের তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে তাঁরা চমক দেওয়া তথ্য পেয়েছেন।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে নাসার নিউ হরাইজনস মহাকাশযানটি প্লুটোর খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায়।
গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা প্লুটোর স্পুটনিক প্ল্যান্টিয়া নামে পরিচিত একটি সমভূমির ছবি নিয়ে গবেষণা করেন। এ অঞ্চলটির কিছু অংশ বালিয়াড়ির মতো দেখতে। এ বালিয়াড়ি পাঁচ কিলোমিটার উচ্চতার বরফপানির পাহাড়ের পাশে অবস্থিত। বালির দানা বা ২০০ থেকে ৩০০ মাইক্রোমিটার আকারের মিথেন বরফে তৈরি এসব বালিয়াড়ি।
প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ম্যাট টেলফারের নেতৃত্বে একদল গবেষক প্লুটোর ভূতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা নিবন্ধটি লিখেছেন। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের পক্ষে একক কোনো বরফ দানা দেখা সম্ভব হয়নি তবে সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে তা বালিয়াড়ি বলে শনাক্ত করা যায়।
বালিয়াড়ির বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় প্লুটো এখন পৃথিবী, মঙ্গল, শুক্র, শনির চাঁদ টাইটান ও ধূমকেতু ৬৭ পির সঙ্গে যুক্ত হল। গবেষকেরা বলছেন, এ ধরনের আবিষ্কার অন্য সৌরজগতে বালিয়াড়ি আছে কিনা এমন আকর্ষণীয় প্রশ্ন সৃষ্টি করবে।