চেহারা ও গাড়ির নম্বরপ্লেট শনাক্তকরণ সফটওয়্যার তৈরি করেছেন দেশের কয়েকজন তরুণ। নিজেদের স্টার্টআপ বা উদ্যোগ সিগমাইন্ড থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত এ সফটওয়্যার তৈরিতে যুক্ত আছেন ৫ তরুণ। তাঁদের তৈরি এ সফটওয়্যার দেশ ও বিদেশে ব্যবহার শুরু হয়েছে।
সিগমাইন্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর তাবাসসুম বলেন, বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন তরুণ উদ্যোক্তাকে নিয়ে তাদের এ স্টার্টআপ তৈরি হয়েছে। তাঁরা দুই বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করেছেন। এরপর সফটওয়্যার উন্নয়ন করে পরীক্ষামূলক চালিয়েছেন। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি কয়েকটি স্থানে তাঁদের এ ট্র্যাকিং সফটওয়্যারের ব্যবহার শুরু হয়েছে।
তানভীর জানান, সিগমাইন্ড হচ্ছে নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাভিত্তিক প্রযুক্তি সেবাদাতা স্টার্টআপ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে গাড়ির নম্বরপ্লেট শনাক্ত করতে পারে এ সফটওয়্যার। এর আগে তাঁরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কম্পিউটার ভিশন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ড্রাইভিং অ্যাসিস্ট্যান্ট ও মনিটরিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা তৈরি করেছেন ওয়াচক্যাম নামের সফটওয়্যারটি। এটি ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করতে পারে। ইতিমধ্যে ভারতের একটি রাস্তায় তাঁদের এ সফটওয়্যার পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
সিগমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু আনাসের ভাষ্য, ওয়াচক্যামের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কম সময়ে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করা যায়। সফটওয়্যারটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন হওয়ায় এটি ব্যবহার বাড়লে আরও বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে। ফলে অপরাধী শনাক্তকরণ বা গাড়ি শনাক্তকরণের মতো নানা কাজে এটি প্রয়োগ করা যাবে।
সিগমাইন্ডের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আরিফ হুসাইন জানান, বিভিন্ন ভবনের নিরাপত্তার জন্য ওয়াচক্যাম কাজে আসবে। এ সফটওয়্যারটি আরও উন্নত করতে কাজ করছেন তাঁরা।