ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়েছে। তৈরি হয়েছে বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র। সেই সঙ্গে ল্যাপটপের বাজারও বড় হচ্ছে। আমরা এখন ল্যাপটপ বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করছি। ইতিমধ্যে নাইজেরিয়া ও নেপালে রপ্তানি করা হয়েছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়াতে রপ্তানি করার সম্ভাবনা রয়েছে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের ‘ইসেট ল্যাপটপ ফেয়ার ২০১৯’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম আসছে। আইটি শিক্ষায় অভিজ্ঞতা নিয়ে। কেজি বয়স থেকেই প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিয়ে বড় হচ্ছে ওরা। সেই সঙ্গে বলতে চাই, যদি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাস্তবায়ন হয়, তাহলে দেশে ৫ কোটি ল্যাপটপের চাহিদা আছে আমাদের। প্রতিটি স্কুল–কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপ দরকার। এ ছাড়া বেড়েছে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও ট্যাবের গুরুত্ব। তবে শুধু পুরোনো প্রযুক্তি নিয়ে বসে থাকলেই চলবে না। নতুন প্রযুক্তিও যুক্ত করতে হবে। যেটি দিয়ে লেখালেখি বা ইন্টারনেট ব্যবহার করব আমরা। বাসা, অফিস ও প্রয়োজনীয় সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকবে ডিভাইসটি। যত ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়বে, তত ল্যাপটপ ও ট্যাবের চাহিদা বাড়বে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সব অঞ্চলে পৌঁছাবে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। আগে কি–বোর্ড, মাউস কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটি বোঝাতে হতো সবাইকে, এখন আর সেটি বোঝাতে হয় না। আমরা জানি, কীভাবে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হয়। আর আগে ল্যাপটপ বিক্রি তেমন ছিল না, এখন রূপান্তর ব্যাপকভাবে হয়েছে। আমাদের পরিধি বিস্তর হচ্ছে, বৈচিত্র্যও আসছে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্টার টেক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের পরিচালক মাহাবুব আলম, আসুস গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেডের কান্ট্রি গ্লোবাল ম্যানেজার আশিক খান, ডেল বাংলাদেশের মার্কেটিং ম্যানেজার প্রতাপ সাহা, এইচপি বাংলাদেশের ডিস্ট্রিবিউশন ও রিটেল বিজনেস ইমরান খান, লেনোভোর ম্যানেজার সেলস রাশেদ কবির ও এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হয় তিন দিনের ‘ইসেট ল্যাপটপ ফেয়ার ২০১৯ ’। এক্সপো মেকারের আয়োজনে এটি দেশের ২১তম ল্যাপটপ প্রদর্শনী। প্রতিদিন মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।