গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে হিকভিশনের নিরাপত্তা নজরদারি যন্ত্র তৈরির কারখানা চালু করেছে এক্সেল ইন্টেলিজেন্ট সলিউশনস। হিকভিশন ডিজিটাল টেকনোলজির কারিগরি সহায়তায় দেশে হিকভিশনের হালনাগাদ প্রযুক্তির নিরাপত্তা নজরদারি যন্ত্র তৈরি করবে দেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। গত শুক্রবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম কারখানার উদ্বোধন করেন।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে। হিকভিশনের মতো বিশ্বখ্যাত নিরাপত্তা নজরদারি পণ্য বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে, এটি আমাদের জন্য বড় অর্জন। এভাবেই “মেইড ইন বাংলাদেশ” কর্মসূচি গতি পাচ্ছে। শিগগিরই সরকার “মেইড ইন বাংলাদেশ নীতিমালা” ঘোষণা করতে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, হাই-টেক পার্কে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের ল্যাপটপসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য তৈরি শুরু হয়েছে। এ কারণে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে। হাই-টেক পার্কগুলোতে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন শুরু হলে বাংলাদেশ আইসিটি পণ্য উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত হবে। ফলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মাথাপিছু আয়ও বাড়বে।
হিকভিশনের দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট হুগো হুয়াং বলেন, চীনের বাইরে ব্রাজিল ও ভারতের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ হিকভিশনের পণ্য উৎপাদন শুরু করল। হিকভিশন বিশ্বের এক নম্বর নিরাপত্তা নজরদারি যন্ত্রপাতি নির্মাতা হলেও রোবোটিকস, আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশের অর্থনীতির বৃদ্ধিতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এবং ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
এক্সেল টেকনোলজিস ও এক্সেল ইন্টেলিজেন্ট সলিউশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা বলেন, কারখানায় উৎপাদিত হিকভিশনের প্রযুক্তিপণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিও করা হবে। ভবিষ্যতে এ কারখানায় অন্যান্য ব্র্যান্ডের ডিজিটাল ডিভাইস, নেটওয়ার্কিং, টেলিকম, এআই ও রোবোটিকস যন্ত্রপাতিও উৎপাদন করা হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে হিকভিশন পণ্য বাজারজাত করা এক্সেল টেকনোলজিসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে এক্সেল ইন্টেলিজেন্ট সলিউশনস।