দুর্যোগের সময় ফেসবুকের ভূমিকা মূলত তথ্য ভাগাভাগির জায়গা হিসেবে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি জানিয়েছে, জরুরি মুহূর্তে নিজ এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্কবার্তা পাঠানোর সুবিধা দেওয়া হবে স্থানীয় সরকার ও প্রাথমিক দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থাগুলোকে।
এ ধরনের দুটি সুবিধা ফেসবুকে আগে থেকেই রয়েছে। সেফটি চেকের মাধ্যমে দুর্যোগের সময় কোনো ব্যবহারকারী তাঁর বন্ধু তালিকার মানুষদের জানাতে পারেন যে তিনি নিরাপদ আছেন। আর কমিউনিটি হেল্পের কাজ হলো দুর্যোগে সাহায্য খুঁজে পেতে সাহায্য করা।
যখন সরকার পরিচালিত ফেসবুক পেজ থেকে কোনো পোস্ট সতর্ক বার্তা হিসেবে চিহ্নিত করা হবে, ফেসবুক সে পোস্ট ওই পেজের অনুসারীদের নিউজ ফিডে গুরুত্ব নিয়ে দেখাবে। নোটিফিকেশন হিসেবেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। আর কোনো ব্যবহারকারী যদি ওই পেজের অনুসারী না হয়ে থাকে, তবে ফেসবুকের ‘টুডে ইন’ অংশে গিয়ে তা দেখা যাবে। ফেসবুক জানিয়েছে, উপযুক্ত ফেসবুক গ্রুপ তাদের ফেসবুক পেজের জন্য ‘লোকাল অ্যালার্ট’ নামের সতর্কবার্তা পাঠানোর সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
এ বছরের মার্চ, এপ্রিল, জুলাই ও চলতি মাসে বেশ কিছু সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ ছিল। ভবিষ্যতে কোনো দুর্যোগের সময় যদি ফেসবুক ক্ষণিকের জন্যও বন্ধ থাকে, তবে হয়তো প্রয়োজনের সময় লোকাল অ্যালার্ট কোনো কাজে আসবে না বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র: দ্য ভার্জ