কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে বলে দেওয়া যাবে, পরবর্তী দুই ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টি হবে কি না।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর মেট অফিসের সঙ্গে একজোট হয়ে ‘নাউকাস্টিং সিস্টেম’ নামের পূর্বাভাস পদ্ধতি তৈরি করেছে গুগলের মালিকানাধীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার ডিপমাইন্ড এবং ইউনিভার্সিটি অব এক্সিটার।
বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে জটিল সমীকরণ ব্যবহার করা হয়। তা-ও ছয় ঘণ্টা থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যবর্তী সময়ের জন্য পূর্বাভাস দেওয়া যায়।
অন্যদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর সিস্টেমটি স্বল্প মেয়াদে আরও নির্ভুল পূর্বাভাস দিতে পারবে। তীব্র ঝড় এবং বন্যার পূর্বাভাসও মিলবে এতে।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের প্রেক্ষাপটের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিকূল আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ, ভারী বৃষ্টিপাতের তীব্রতা এবং পৌনঃপুনিকতাও বাড়ছে। গবেষকদের বিশ্বাস, এতে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মৃত্যুও বাড়তে পারে।
মেট অফিসের অংশীদারত্ব এবং পণ্য উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান নিয়াল রবিনসন বলেছেন, ‘প্রতিকূল আবহাওয়ার সর্বনাশা প্রভাব আছে। এর মধ্যে রয়েছে মৃত্যুও। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বলা যায়, এ ধরনের ঘটনা আরও বেশি ঘটবে। সে ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদে আবহাওয়ার পূর্বাভাস মানুষকে নিরাপদে থাকতে সাহায্য করতে পারে।’
২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের রাডার মানচিত্র দেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেমটি বৃষ্টিপাতের সাধারণ প্যাটার্ন শনাক্ত করতে শিখেছে। সিস্টেমটি ২০১৯ সালের মানচিত্রে প্রয়োগ করে দেখা যায়, ৮৯ শতাংশ ক্ষেত্রে সেটি সঠিক ছিল। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার-এ।