বিশ্বে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম গর্ভাশয় তৈরিতে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ গর্ভাশয়ে অপরিণত ভেড়ার ভ্রূণ বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে অপরিণত মানবভ্রূণ বাঁচাতেও এই কৃত্রিম গর্ভাশয় কাজে লাগানো যাবে।
এ গর্ভাশয় তৈরিতে কৃত্রিম প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে গর্ভফুলের এ প্রযুক্তি কেবল পরিণত ভ্রূণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব ছিল। পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধটি ‘আমেরিকান জার্নাল অব অবসট্রেটরিকস অ্যান্ড গাইনোকলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে অপরিণত ভ্রূণ এই গর্ভাশয়ে টেকানোর প্রমাণযুক্ত কোনো তথ্য ছিল না। এই প্রযুক্তির লক্ষ্য ছিল চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য একে প্রস্তুত করা।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম গর্ভাশয় বা কৃত্রিম গর্ভফুলভিত্তিক লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমটি ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত ভেড়ার ভ্রূণ ধরে রাখতে পারে, যা মানবভ্রূণের ক্ষেত্রে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ধরা যেতে পারে।
জাপানের তোহকু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ম্যাট কেম্প বলেন, কয়েক দশক ধরে অপরিণত শিশু জন্মের ক্ষেত্রে উন্নতি ছিল সামান্যই। পরীক্ষা করে ওই প্রযুক্তি কাজ করার বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীরা কেম্প বলেন, নতুন এ প্রযুক্তি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে অপরিণত শিশুর চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসে। প্রাকৃতিক গর্ভাশয়ের সঙ্গে বাইরে দুনিয়ার একটি সেতু তৈরি এর লক্ষ্য, যাতে অপরিণত শিশুর ফুসফুস পরিণত হওয়ার বাড়তি সময় পায়।