ডিপফেক নামে পরিচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সম্পাদনা করা ভিডিও ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেবে। সম্প্রতি ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ডিপফেক মূলত কম্পিউটার থেকে তৈরি ভিডিও ক্লিপ, যা দেখতে আসল ভিডিওর মতোই। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফেসবুক তাদের এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, ডিপফেক ভিডিওতে বিকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়, যা আধুনিক প্রযুক্তি শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ডিপফেক বিষয়টি এখনো খুব বেশি পরিচিত হয়ে ওঠেনি, তবে ধীরে ধীরে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারে।
সফটওয়্যার ব্যবহার করে রাজনীতিবিদ বা তারকাদের বিভিন্ন ভিডিও সম্পাদনা করে এমন ভিডিও তৈরি করে প্রকাশ করা হয়, যা প্রকৃত ভিডিও মনে হতে পারে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, কোনো ভিডিও যদি এমনভাবে সম্পাদনা করা থাকে, যাতে প্রকৃত ব্যক্তি মনে না হয় এবং দর্শককে ভুল তথ্য দিতে থাকে, তা ধরতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফেসবুকের কর্মীদের পাশাপাশি ফ্যাক্ট চেকাররা এসব ভিডিও প্রকৃত ভিডিও কি না, তা চিহ্নিত করবে। তবে কোনো বিদ্রূপাত্মক বা কৌতুকের ভিডিওতে এ নীতিমালা প্রয়োগ করা হবে না।
গত সেপ্টেম্বরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয় যে তারা এক কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে ডিপফেক শনাক্তকারী প্রযুক্তি তৈরি করছে।
এর আগে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গকে ঘিরে একটি ডিপফেক ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ওই ভিডিওতে ফেসবুকের সাফল্যের জন্য একটি গোপন সংস্থাকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
ফেসবুকের পাশাপাশি গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানও ডিপফেকের বিরুদ্ধে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে।
ফেসবুক বলেছে, একাডেমিয়া, সরকার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে ডিপফেক নির্মাতাদের বের করতে কাজ করা হবে।
ডিপফেকের পাশাপাশি ফেসবুকের পক্ষ থেকে নগ্ন, সহিংস, ঘৃণ্য বক্তব্যের মতো বিভিন্ন ভিডিও বন্ধ করার উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ডিপফেক: আসলের মতো, কিন্তু আসল নয়
ডিপফেকের ভয়ানক বিপদ সামনে
জাকারবার্গের ভুয়া ভিডিও সরাবে না ফেসবুক