সহিংসতার প্রশংসা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা একটি টু্ইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার টুইটারের নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই টুইট সরাসরি দেখার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। ওই টুইটে ট্রাম্প বলেছিলেন, মিনিয়াপোলিসে বিক্ষোভরত লুটেরাদের গুলি করে মারা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটার এমন এক সময়ে পদক্ষেপ নিল, যখন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শহরগুলোতে জাতিগত নাগরিক অস্থিরতা চলছে এবং প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরোধ বেড়ে গেছে।
ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সিলিকন ভ্যালির সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোকে বাকস্বাধীনতাকে কেন্দ্র করে নতুন বিধিবিধানের হুমকি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর টুইটার তাদের পদক্ষেপ নিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর লাগাম টানার বিষয়ে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, নিজের অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করে না, এমন সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেবেন।
বিতর্কের শুরু গত মঙ্গলবার। ওই দিন ট্রাম্পের বিভিন্ন টুইটের ফ্যাক্ট চেক লিংক দেওয়া শুরু করে টুইটার। এর মানে হলো, প্রেসিডেন্ট যে টুইট করেছেন, তা কতটুকু সত্য, সেটি যাচাই করার জন্য বার্তার নিচে ‘আসল খবর যাচাই করে দেখুন’—এমন ফ্যাক্ট চেকিং ট্যাগ ব্যবহার করেছে টুইটার। এতে ব্যাপক চটেছেন প্রেসিডেন্ট। তিনি টুইটার ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার এক নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে ফেসবুক-টুইটারের মতো কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। নির্বাহী আদেশে সই করার আগে ট্রাম্প ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে ‘নিয়ন্ত্রণহীন শক্তি’ বলে অভিহিত করেন।
টুইটার ট্রাম্পের যে টুইটে বিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে লেবেল যুক্ত করেছে, তা কেবল নোটিশটিতে ক্লিক করলে দেখা যাবে। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, এই টুইটটি সহিংসতার প্রশংসা করার বিষয়ে টুইটার বিধি লঙ্ঘন করেছে।
তবে টুইটটি নিয়ে জনগণের আগ্রহ থাকতে পারে বিবেচনা করে এখনো টুইটার কর্তৃপক্ষ তা দেখার সুযোগ রেখেছে।
টুইটারের এক মুখপাত্র জানান, লেবেল প্রয়োগের আগেই তাঁদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ডরসিকে ট্রাম্পের টুইট ট্যাগ করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিল।
প্রিভেনটিভ ভায়োলেন্স নামে একটি পোস্টে টুইটার কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ট্রাম্পের টুইট দেখে যাতে অন্যরা সহিংস কাজকর্ম করতে অনুপ্রাণিত না হয়, সেই স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।