মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা ‘সঠিক’ সিদ্ধান্ত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ডরসি। একই সঙ্গে কাজটিকে ‘বিপজ্জনক’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার ঘটনা ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন টুইটারের সিইও। তিনি ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি টুইটারের ব্যর্থতার অংশ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। টুইটারকে ‘ভালো আলোচনার’ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলতে যথেষ্ট কাজ করতে পারেননি।
টুইটার থেকে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি একদিকে যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনি অন্যদিকে সমালোচিত হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ টুইটারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। টুইটারের দীর্ঘ এক আলোচনায় জ্যাক ডরসি বলেছেন, ‘ট্রাম্পকে নিষিদ্ধের ঘটনাটি তিনি উদযাপন করেননি বা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি গর্ব করেন না।’
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে মার্কিন কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্প–সমর্থকদের হামলার ঘটনার পর টুইটারে নিষিদ্ধ করা হয় ট্রাম্পকে।
টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, কয়েক দিন ধরে ট্রাম্পের করা টুইটগুলো তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেই প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ট্রাম্পের টুইট আরও সহিংসতাকে প্ররোচিত করতে পারে—এমন আশঙ্কার কারণেই তাঁর অ্যাকাউন্টটিকে স্থায়ীভাবে স্থগিত করে দেওয়া হয়।
জ্যাক ডরসি বলেন, ‘টুইটার ও এর বাইরে শারীরিক নিরাপত্তার হুমকি বিষয়ে আমাদের কাছে থাকা সর্বোচ্চ তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি স্বীকার করেছেন, টুইটারের এ পদক্ষেপ মুক্ত ও স্বাধীন মতামতের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত জনমতকে বিভক্ত করে এবং এমন নজির স্থাপন করে, যা বিপজ্জনক।