সংক্ষিপ্ত ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের তালিকায় ৪ নম্বরে উঠে এসেছে অ্যাপটি। জনপ্রিয়তা দেখে এর দিকে এখন ঝুঁকছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। টিকটক ব্যবহারকারীদের কৌশলে বাজে সাইটে নিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান টেনাবলের প্রকাশ ৫০ পাতার একটি গবেষণা প্রতিবেদনে টিকটকের ঝুঁকিপূর্ণ দিকগুলো উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকটক ধীরে ধীরে প্রাপ্তবয়স্কদের ডেটিং স্ক্যাম ও ভুয়া অ্যাকাউন্টের কেন্দ্র হয়ে উঠছে।
টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করে একটি নির্দিষ্ট পেজ বা ওয়েবসাইটে নিয়ে যায় সাইবার দুর্বৃত্তরা। সেখানে ব্যবহারকারীকে ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে সাইন আপ করতে বলে। এগুলোর বেশির ভাগই ডেটিং সাইট।
টেনাবলের বিশেষজ্ঞ সাতনাম নারাং এক ব্লগ পোস্টে বলেছেন, টিকটকের জনপ্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি স্ক্যামারদের আকর্ষণও বাড়ছে। স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রামের বিভিন্ন প্রোফাইল থেকে আকর্ষণীয় ছবি চুরি করে তা কাজে লাগায় দুর্বৃত্তরা। এরপর ব্যবহারকারীর আগ্রহ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ন্যুড পেজে তাদের নিয়ে যায়। এসব পেজ থেকে বিভিন্ন ডেটিং সাইটে ব্যবহারকারীকে পাঠানো হয়। সেখানে বয়সসহ বিভিন্ন তথ্য পূরণ করতে বলা হয়। এসব তথ্য পূরণ করলে আবার আরেকটি সাইটে নিয়ে যায়। সেখানেও তথ্য পূরণ করতে হয়। এ ধরনের কাজের জন্য কস্ট পার অ্যাকশন (সিপিএ) ভিত্তিতে অর্থ আয় করতে পারে তারা। এ ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করাতে পারলে তাদের এক থেকে তিন ডলার পর্যন্ত আয় হয়। এর বাইরে প্রিমিয়াম স্ন্যাপচ্যাট আকাউন্টে সাইনআপ করানোর মাধ্যমেও অর্থ ও তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপল ডিভাইসে টিকটক স্ক্যামার ও স্ক্যাম সংখ্যা বাড়ছে। ডাউনলোডের হিসেবে অ্যাপ স্টোরের শীর্ষে থাকা অ্যাপ এটি। গুগল প্লে স্টোরে এটি আছে তিন নম্বরে।
টিকটকের স্ক্যাম অ্যাকাউন্ট প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বলেন, টেনাবলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা স্ক্যাম অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ভুয়া ও প্রতারণামূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে টিকটকের নীতিমালা কঠোর। ব্যবহারকারীর ফিডে পৌঁছানোর আগেই স্ক্যাম অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হয়।
অবশ্য এখন পর্যন্ত কতগুলো অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে সে বিষয়ে মুখ খোলেনি টিকটক কর্তৃপক্ষ।