টিকটক একঝাঁক নতুন ডিজিটাল তারকা তৈরি করেছে ঠিকই, তবে প্ল্যাটফর্মটি থেকে সরাসরি আয়ের পথ এখনো সহজ হয়নি।
ইউটিউব বা ফেসবুকে যেমন বিজ্ঞাপনী আয়ের একটি অংশ ভিডিও নির্মাতা পেয়ে থাকেন, টিকটকে তেমন নয়। এর বদলে ‘ক্রিয়েটর ফান্ড’ গঠন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অন্তত এক লাখ ফলোয়ার বা অনুসারী আছে এমন টিকটক ব্যবহারকারীরা তাঁদের ভিডিওর জন্য ওই তহবিল থেকে অর্থ পেয়ে থাকেন।
প্রেস্টন সিও ভিডিও তৈরি করেন পার্সোনাল ফাইন্যান্স নিয়ে। টিকটকে তাঁর অনুসারী প্রায় ১৬ লাখ। গত জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ক্রিয়েটর ফান্ড থেকে তিনি মোট ১ হাজার ৬৬৪ ডলার পেয়েছেন। বিজনেস ইনসাইডারকে তিনি বলেছেন, টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে তিনি ৯ থেকে ৩৮ ডলার পর্যন্ত পেয়েছেন।
টিকটকের ক্রিয়েটর ফান্ড থেকে ভিডিও নির্মাতাদের আয় খুব বেশি না হওয়ায় অনেকেই নানা ব্র্যান্ডের প্রচারণায় কাজ করেন।
সিও বলেছেন, টিকটকে প্রতি স্পনসর্ড বা বিজ্ঞাপনী পোস্টের জন্য তিনি ৬০০ ডলার নেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার সিম্ফনি ক্লার্ক এর আগে বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছিলেন, তিনি টিকটকে প্রতি বিজ্ঞাপনী পোস্টের জন্য ৩৫০ থেকে ৬০০ ডলার পর্যন্ত নেন। তাঁর ফলোয়ার-সংখ্যা দুই লাখের আশপাশে।
টিকটকে আয়ের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ভিডিওতে গানের প্রচার করা। বিশেষ করে নতুন গান দ্রুত ভাইরাল করার জন্য সংগীত প্রযোজনা ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো টিকটক তারকাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়।
নিকোল, নাটালি ও নিকা টেইলর নামের তিন সহোদরা টিকটকে একসঙ্গে ভিডিও বানান। তাঁদের অনুসারী ৮০ লাখের বেশি। বিজনেস ইনসাইডারকে তাঁরা বলেছেন, গানের প্রচারণার জন্য তাঁরা একটি ভিডিওতে ৭৫০ ডলার, দুটি ভিডিওতে ১ হাজার ৪০০ ডলার এবং তিনটি ভিডিওর জন্য ২ হাজার ডলার নেন।
আর যাঁদের ফলোয়ার কম, তাঁদের আয়ও কম। সংগীত বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ফ্লাইটহাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মী অস্টিন জর্গাসের মতে সেটা ভিডিওপ্রতি ২০ থেকে ১৫০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।