চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জেডটিই ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিসকে বিশ্বাস করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবেও বর্ণনা করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনসকে (এফসিসি) লেখা এক চিঠিতে বার এ মন্তব্য করেন। চিঠিটি ১৪ নভেম্বর প্রকাশ করেছে এফসিসি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে সরকারের ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সেবা নেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন বার। ২২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনস (এফসিসি) কমিশন এ বিষয়ে ভোট দেবে। এতে দেশটির নেটওয়ার্ক অপারেটরদের হুয়াওয়ে ও জেডটিইর যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলার প্রস্তাব করা হয়েছে।
চিঠিতে বার লিখছেন, জেডটিই ও হুয়াওয়ের ট্র্যাক রেকর্ড, চীন সরকারের আচরণ প্রমাণ করে তাদের বিশ্বাস করা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক নিরাপত্তায় এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা ঝুঁকির বাইরে বিবেচনা করা সুযোগ নেই। তাদের কাজকর্মে তারা এর প্রমাণ রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের মন্তব্যের জবাবে হুয়াওয়ে বা জেডটিইর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য দেওয়া হয়নি।
বার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানের সঙ্গে ব্যবসা, ব্যাংক জালিয়াতি, বিচার ব্যবস্থায় বাধার মতো অভিযোগ তুলেছেন। জেডটিই ২০১৭ সালে ইরানের সঙ্গে লেনদেনের কারণে দোষী সাব্যস্ত হয়।
এফসিসির চেয়ারম্যান অজিত পাই বলেছেন, কমিশন নেটওয়ার্ক দুর্বলতা ব্যবহার করার ক্ষেত্র চীন সরকারের হস্তক্ষেপের ঝুঁকি এড়াতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনের হুয়াওয়ে ও জেডটিইর যন্ত্রপাতি কেনা ঠেকাতে নতুন এ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। হুয়াওয়ে গত সপ্তাহে বলেছিল, যে ১৭০টি দেশে তাদের কার্যক্রম চলছে তাতে গত ৩০ বছরের ব্যবসার ইতিহাসে কোনো নিরাপত্তাজনিত ঘটনা ঘটেনি।
গত মে মাসে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোকে ৫-জি নেটওয়ার্ক স্থাপনে হুয়াওয়ের যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করার জন্যও চাপ দিয়ে আসছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও ইউরোপের অনেক দেশ হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে।