করোনাকালে ভিডিও কনফারেন্সের সেবা জুমে একের পর এক মিটিংয়ে ক্লান্তি এলে জেনে রাখুন, আপনি একা নন। ভিডিও কনফারেন্স সেবাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক ইউয়ান খোদ জানিয়েছেন, তিনি নিজেও জুমে অনবরত মিটিং করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের আয়োজনে এক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে এরিক বলেন, একবার তিনি টানা ১৯টি জুম মিটিংয়ে অংশ নেন। তা-ও একই দিনে।
জুমে অনবরত মিটিং করার এই ক্লান্তিকে জুম ফ্যাটিগ বা অবসাদ বলা হয়। সে প্রসঙ্গ টেনে জুমের সিইও বলেন, ‘ওই জুম ফ্যাটিগে আমি খুবই বিরক্ত।’
সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমার মিটিং অবসাদ আছে। এখন আর একের পর এক মিটিং রাখি না। এতে আগের চেয়ে ভালো আছি।’
২০১১ সালে জুম প্রতিষ্ঠা করেন এরিক ইউয়ান। করোনাকালে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আগে সেবাটি মানুষের কাছে অপরিচিতই ছিল। অথচ এরিক এখন বিশ্বের ১৩৩ নম্বর ধনী। ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৩২০ কোটি ডলার।
জুমের সিইও হয়েও এরিক চান তাঁর কর্মীরা আগের মতো মুখোমুখি মিটিংয়ে ফিরে যাক। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন হলেও যেন তাঁরা অফিসে গিয়ে কাজ করেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্টক এক্সচেঞ্জ নাজডাকের সিইও আডিনা ফ্রিডম্যান বলেন, নিউইয়র্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত কর্মীদের শহরটিতে ফিরিয়ে আনার জন্য অনুপ্রাণিত এবং প্ররোচিত করা। এতে শহরটি আবার জেগে উঠবে বলে তাঁর আশা।
সবাই অবশ্য তাঁর মতো নমনীয় নন। আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান জেপি মরগ্যানের চেয়ারম্যান এবং সিইও জেমি ডায়মন বলেন, ‘হ্যাঁ, মানুষ যাতায়াত পছন্দ করে না, কিন্তু তাতে কী? আমরা চাই মানুষ কাজে ফিরে আসুক। আর আমার ধারণা, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের কোনো এক সময়ে সবকিছু আগের মতো হয়ে যাবে।’
থ্রিডি প্রিন্টিং নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান কার্বন ইনকরপোরেটেডের সিইও অ্যালেন কুলম্যানও তা-ই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘এটা গণতন্ত্র নয়। আমরা ভোটাভুটি করব না।’
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট