বিভিন্ন গান, বিখ্যাত সিনেমার সংলাপসহ নানা রকম মজাদার অডিওর সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে ছোট ভিডিও তৈরি করে আপলোড করা যায় টিকটক অ্যাপে। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে চীনা মিউজিক ভিডিও বানানো ও শেয়ার করার প্ল্যাটফর্মটি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটিবার ডাউনলোড করা হয়েছে এই অ্যাপ। আশ্চর্যের কথা হচ্ছে, ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গও গোপনে টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলে রেখেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউয়ের সিলিকন ভ্যালিতে ইতিমধ্যে অফিস খুলেছে চীনা স্টার্টআপ টিকটক। ফেসবুকের কার্যালয়ের কাছাকাছি অফিস নিয়ে ফেসবুকের কর্মীদের ভাগিয়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগও উঠছে টিকটকের নির্মাতা বাইটড্যান্সের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ফেসবুকের বেশ কয়েকজন কর্মী টিকটকে যোগ দিয়েছেন। ফেসবুকের চেয়েও বেশি বেতনের অফার দিচ্ছে টিকটক।
মার্কিন গণমাধ্যম বাজফিডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাকারবার্গ যে নামে টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন, সে নামেই টিকটকে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টটির সঙ্গে জাকারবার্গের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম যুক্ত। তবে টিকটক অ্যাকাউন্টটি এখনো ভেরিফায়েড নয়।
জাকারবার্গের অ্যাকাউন্ট থেকে অবশ্য এখনো কোনো ভিডিও পোস্ট করা হয়নি। তবে ৬৩ জনকে অনুসরণ করা হচ্ছে। এসব অ্যাকাউন্টের অধিকাংশই ভেরিফায়েড। জাকারবার্গের অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যাও ৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
ফেসবুককে নানাভাবে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে টিকটক। ইতিমধ্যে গোপনে টিকটক নিয়ে কথা বলাও শুরু করেছেন জাকারবার্গ। সম্প্রতি জাকারবার্গের ফাঁস হওয়া কথোপকথন অনুযায়ী, চীনা নির্মাতাদের তৈরি প্রথম কোনো পণ্য যা বৈশ্বিক পর্যায়ে ভালো করছে।
তিন বছর ধরে বেড়েই চলেছে চীনা ভিডিও তৈরির অ্যাপ টিকটকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা।
সেনসর টাওয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড অ্যাপ হলো এই টিকটক। ৬ কোটির কাছাকাছি মানুষ টিকটক অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। এর মধ্যে ভারতে রয়েছে ৪৪ শতাংশ। বলিউড তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবারই খুব পছন্দের অ্যাপ টিকটক। এখন তো বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও টিকটক অ্যাপ ব্যবহার করে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। টিকটকের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফেসবুক। ভারতের ২৩ শতাংশ মানুষ ফেসবুক অ্যাপ ডাউনলোড করেন। তালিকায় শীর্ষ পাঁচের মধ্যে ইনস্টাগ্রাম, লাইকি, স্ন্যাপচ্যাটের মতো অ্যাপগুলো রয়েছে।