এসএসসি পরীক্ষার্থী, বাংলা ২য় পত্রে ব্যাকরণ অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অংশ থেকে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন আসে। নৈর্ব্যক্তিক ৫০ নম্বরের মধ্যে ৪০ নম্বরের প্রশ্নই ব্যাকরণ থেকে আসে, পত্র ও অনুবাদ থেকে বাকি ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। এ ক্ষেত্রে নৈর্ব্যক্তিক অংশের ৫০ নম্বরের মধ্যে ৪৫-৪৮ নম্বর পর্যন্ত পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। মনে রাখবে, পাঠ্যসূচির যেকোনো অংশ থেকেই নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন আসতে পারে। প্রতিটি অধ্যায়ের সম্পূর্ণ অংশ ভালো করে পড়া না থাকলে অনুমানের ওপর নির্ভর করে সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। আবার ব্যাকরণ অংশটি থেকে মুখস্থ করেও ভালো করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন অধ্যায় ভাগ করে নিয়ে কোন অংশে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সেটি বুঝে পড়বে। প্রথম অধ্যায়ের প্রথম ও দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের ‘ভাষা’, ‘বাংলা ব্যাকরণ ও এর আলোচ্য বিষয়’ খুব মনোযোগ দিয়ে কয়েকবার পড়ে নিয়ে প্রয়োজীয় অংশগুলো কলম দিয়ে চিহ্নিত করে রাখবে এবং বারবার রিভিশন দেবে। দ্বিতীয় অধ্যায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের ‘ধ্বনির পরিবর্তন’ এবং চতুর্থ পরিচ্ছেদে ‘সন্ধি’ অংশটি তুলনামূলকভাবে কঠিন, সে জন্য একটু বুঝে পড়তে হবে। তৃতীয় অধ্যায়ের ষষ্ঠ পরিচ্ছেদে ‘সমাস’, অষ্টম পরিচ্ছেদে ‘ধাতু’, নবম ও দশম পরিচ্ছেদে ‘প্রত্যয়’ খুব যত্ন সহকারে বুঝে বুঝে পড়তে হবে এবং মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করে বারবার রিভিশন দিতে হবে। চতুর্থ অধ্যায়ের সপ্তম পরিচ্ছেদের ‘কারক ও বিভক্তি’, পঞ্চম অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদের ‘বাক্যপ্রকরণ,’ তৃতীয় ও চতুর্থ পরিচ্ছেদের ‘উক্তি পরিবর্তন’ এবং ‘বাচ্য পরিবর্তন’ অংশটিও গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে, বাংলা ২য় পত্রের নৈর্ব্যক্তিক অংশের ৫০ নম্বরের মধ্যে ব্যাকরণ অংশটি অধিক গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
রচনামূলক অংশের ৫০ নম্বরের ক্ষেত্রে অনুবাদ, সারাংশ বা সারমর্ম, ভাবসম্প্রসারণ, পত্র বা দরখাস্ত এবং প্রবন্ধ/রচনা—সব কটিই সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে এবং উত্তর লেখার মান বাড়াতে হবে।
অনুবাদ: অনুবাদ করার সময় প্রশ্নপত্র থেকে ইংরেজি অংশটি কমপক্ষে তিনবার পড়ে নেবে। প্রদত্ত অংশটির মূলভাব বুঝে নিয়ে সহজ ভাষায় অনুবাদ করবে। মাত্র চার-পাঁচ চরণের ছোট্ট অনুবাদে কাটাকাটি করবে না।
সারাংশ বা সারমর্ম: সারাংশ বা সারমর্মের জন্য নির্ধারিত অংশ দু-তিনবার পড়ে নিয়ে মূল ভাবটি সংক্ষেপে তিন-চার চরণের মধ্যে লিখে শেষ করতে হবে।
ভাবসম্প্রসারণ: ভাবসম্প্রসারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কমন পড়ে, না পড়লেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনটি প্যারা মাথায় রেখে লিখলেই চলবে। প্রথম প্যারায় উদ্ধৃতাংশটির মূলভাব দুটি চরণে লিখবে, পরে বিশ্লেষণ এবং শেষে মন্তব্য রাখবে। শিরোনাম লিখবে না।
পত্র বা দরখাস্ত: পত্র বা দরখাস্তের তিনটি প্রশ্ন থাকে, পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী উত্তর লিখতে পারে। নিয়মকানুনের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। নিজ প্রতিষ্ঠানের কাছে লেখা দরখাস্ত ছাড়া অন্য সব পত্রে খাম দিতে হবে।
প্রবন্ধ বা রচনা: প্রশ্নপত্রে পাঁচটি প্রবন্ধ বা রচনা উল্লেখ থাকে। যেকোনো একটি লিখতে হবে। প্রবন্ধ বা রচনা যথাসম্ভব তথ্যসমৃদ্ধ, উদ্ধৃতিবহুল এবং আয়তনে দীর্ঘ হলে ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করবে। প্রবন্ধ বা রচনা লেখার ক্ষেত্রে শিরোনাম ব্যবহার করা যাবে।
সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ