গুগলের মানচিত্র সেবা ম্যাপসে শিগগিরই কোভিড-১৯ টিকাদানকেন্দ্রের অবস্থান দেখানো শুরু হবে। সঙ্গে থাকবে যথারীতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক তথ্য।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা, লুইজিয়ানা, মিসিসিপি ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে সুবিধাটি ছাড়া হবে। এরপর ক্রমে তা অন্যান্য দেশেও পাওয়া যাবে।
গতকাল সোমবার গুগল জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুর তুলনায় এ কয়েক দিনে ‘নিকটস্থ টিকা’ খোঁজার হার বেড়েছে পাঁচ গুণ। মানুষের সে চাহিদার ভিত্তিতে গুগল ম্যাপসে ব্যবহারকারীর অবস্থান অনুযায়ী টিকাকেন্দ্রের তথ্য দেখানো শুরু করা হচ্ছে।
নতুন সুবিধায় ম্যাপসে খুঁজলে নিকটস্থ টিকাকেন্দ্র তো দেখাবেই, সে সঙ্গে প্রাসঙ্গিক তথ্য, যেমন অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগবে কি না, টিকা সবাইকে দেওয়া হবে কি না, ‘ড্রাইভ-থ্রু’, অর্থাৎ গাড়ি চালিয়ে গিয়ে টিকা গ্রহণ করা যাবে কি না—এসব তথ্যও থাকবে। গুগল বলেছে, তারা নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য স্থানীয় সরকার এবং ওষুধ বিক্রয়কেন্দ্রের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
জরিপের প্রতিবেদনে বলছে, টিকা নিয়ে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে সংশয় বাড়ছে। কাইজার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ৬০ শতাংশ আমেরিকান জানে না কখন কিংবা কোথায় টিকা পাওয়া যাবে। এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর দায়িত্বপ্রাপ্তির প্রথম ১০০ দিনে ১০ কোটি ডোজ টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে টিকাপ্রাপ্তির ব্যাপারে ধৈর্য ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গুগল ও এর মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই গতকাল জানিয়েছেন তাঁর প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য প্রচারে সিডিসি ফাউন্ডেশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য অলাভজনক সংস্থাকে ১০ কোটি ডলার দান করেছে। সে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে গুগল কার্যালয়ের বেশ কিছু অংশ টিকা প্রদানে সাহায্য করার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। অবশ্য গুগল প্রথম নয়। এর আগে স্টারবাকস, আমাজন ও ওয়ালমার্টের প্রতিষ্ঠানও টিকা সরবরাহে নানাভাবে যুক্ত থাকার ঘোষণা দিয়েছে।