গরম যেন কমছেই না। এ সময়ে প্রশান্তি এনে দেবে এসি বা এয়ার কন্ডিশনার। এসির দাম, মান এবং বিদ্যুৎ খরচ দেখে অনেকেই এসি পছন্দ করে। গরমের আরাম পেতে এসির প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। বাজার ঘুরে থাকছে এসির খোঁজখবর।
স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব কনজিউমার ইলেকট্রনিকস বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, ‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ও মান বজায় রাখার ব্যাপারে স্যামসাং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। স্যামসাংয়ের এসি ক্রয়ে একজন গ্রাহক শুধু পণ্য কেনেন না বরং আমরা তাঁকে সর্বোৎকৃষ্ট বিক্রয়–পরবর্তী সেবা দিয়ে থাকি। এতে এসি কিনে আমাদের গ্রাহককে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয় না। আমাদের দেশে সাধারণত গ্রীষ্মকালে মাত্রাতিরিক্ত গরম সহ্য করতে হয়, আর এর থেকে মুক্তি পেতেই এসি কেনেন ক্রেতারা। স্যামসাংয়ের এসির রয়েছে বেশ কয়েকটি মডেল, যেগুলো থেকে সহজেই ক্রেতারা স্যামসাংয়ের বিভিন্ন সুবিধাজনক পেমেন্ট পদ্ধতিতে পছন্দের এসি কিনতে পারবেন।’
এর মধ্যে স্যামসাংয়ের নন–ইনভারটার এক টন এসির দাম ৫৩ হাজার ৯০০ টাকা, দেড় টনের দাম ৭০ হাজার ৯০০, দুই টনের দাম ৮১ হাজার ৯০০ টাকা। ইনভারটার এক টন এসির দাম ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা, দেড় টনের দাম ৯১ হাজার ৪০০ টাকা এবং দুই টনের দাম ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা।
এখন যেকোনো ব্র্যান্ডের এসির এক্সচেঞ্জ অফার দিচ্ছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ। এতে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, এক্সচেঞ্জ অফারে রেগুলার ক্যাশব্যাক প্রযোজ্য নয়।
স্যামসাংয়ের এসিতে বেশ কয়েকটি সুবিধাসহ বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ৮ পোল ডিজিটাল ইনভারটার রয়েছে স্যামসাংয়ের এসিতে। ট্রিপল ইনভারটার (৮ পোল ডিজিটাল ইনভারটার দ্বারা পরিচালিত) দ্রুত ঠান্ডা, কম বিদ্যুৎ শক্তি খরচ, অধিক শক্তিশালী। কম্প্রেসর, কন্ট্রোলার ও কনডেনসার প্রটেক্টর রয়েছে এসব এসিতে। ফুল এইচডি ৩ কেয়ার ফিল্টার; ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও এলার্জি দূর করে সর্বোচ্চ ৯৯ শতাংশ। ২ স্টেপ কুলিং, ফাস্ট ও কমফোর্ট কুলিং সুবিধা।
দেশের বাজারে সিঙ্গারের রয়েছে ৩ ধরনের এসি—স্ট্যান্ডার্ড, ইনভারটার ও সেমি কমার্শিয়াল সিরিজ। স্ট্যান্ডার্ডে রয়েছে ১ টন, ১ দশমিক ৫ টন ও ২ টনের এসি, যেগুলো কেনা যাবে ৪২ হাজার ১৯০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭২ হাজার ৯০ টাকা। অন্যদিকে, ইনভারটার সিরিজে রয়েছে ৩টি মডেলের ১ টন থেকে ২ টনের এসি, যেগুলো কেনা যাবে ৪৭ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৮৫ হাজার ৯৯০ টাকা। পাশাপাশি, সেমি কমার্শিয়ালে রয়েছে ৪ টন ও ৫ টনের ২টি মডেলের এসি, যার একটির দাম ১ লাখ ৫৮ হাজার ২৫১ টাকা আর অন্যটি ১ হাজার ৭৪ হাজার ৯৯০ টাকা। সাধারণ বাজারমূল্যের ওপর উল্লিখিত অফার প্রযোজ্য হবে। ক্রেতাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সিঙ্গার এসিতে থাকছে তিন বছরের ওয়ারেন্টি ও ফ্রি ইনস্টলেশন–সুবিধা। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এয়ার কন্ডিশনার কেনায় ১০ শতাংশ মূল্যছাড় দিচ্ছে ওয়ালটন।
দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা এবং অনলাইনের ই-প্লাজা থেকে এসি কিনে পাঁচটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দাম পরিশোধ করলেই এই ছাড় পাওয়া যাবে। এ সুযোগ থাকছে জুন মাসজুড়ে। ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, যেসব ব্যাংকের ভিসা, মাস্টারকার্ড, নেক্সাস এবং অ্যামেক্স কার্ডের মাধ্যমে ১০ শতাংশ মূল্যছাড়–সুবিধায় ওয়ালটন এসি কেনা যাবে, সেগুলো হলো ডাচ্বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংক। ওয়ালটনের আইওটি প্রযুক্তির এসিও রয়েছে, যা স্মার্টফোন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বেশ কিছু মডেলের ওয়ালটন এসি এখন পাওয়া যাচ্ছে সারা দেশে।
এ ছাড়া ওয়ার্লপুল, জেনারেল, ট্রান্সটেক, প্যানাসনিক, এলজি, সনি-র্যাংগ্স, ভিশনসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এসি পাওয়া যায়। রয়েছে ৬ মাস থেকে ৩৬ মাসের কিস্তিসুবিধা। এসি বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। মডেলের ভিন্নতার ওপর এর দাম নির্ভর করে।
এসির পরিচর্যা
l দক্ষ লোকের মাধ্যমে সঠিকভাবে এসি বাসায় স্থাপন করতে হবে। যাতে ছিদ্র দিয়ে গ্যাস বেরিয়ে না যায়।
l এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে, যেন সঠিকভাবে বাতাস বের হতে পারে এবং কর্মসম্পাদন সর্বোচ্চ পর্যায়ে করতে পারে।
l ইনডোর ও আউটডোর ইউনিটের সামনে পর্যাপ্ত খালি জায়াগা রাখতে হবে, যাতে প্রতিটি কোনায় বাতাস ছড়াতে পারে।