বাজারে ভাঁজযোগ্য (ফোল্ডেবল) পর্দার স্মার্টফোন ছাড়ার জন্য গত বছর রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বছরের শুরুর দিকে বাজারে ছাড়ার কথা বললেও পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় স্যামসাং ও হুয়াওয়ে। এত দিন পর এসে সে স্মার্টফোনগুলো বিক্রির পরিমাণ নিয়ে মুখ খুললেন প্রতিষ্ঠান দুটির নির্বাহীরা।
এগিয়ে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ফোল্ড
স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের প্রেসিডেন্ট ইয়ং শোন গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় ১০ লাখ গ্যালাক্সি ফোল্ড বিক্রি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। পরে স্মার্টফোনটির বিক্রির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা এবং বিক্রি হওয়া ইউনিটের সংখ্যা গুলিয়ে ফেলেছিলেন বলে স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে ভুল শুধরে দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত ‘কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শো (সিইএস) ২০২০’ প্রযুক্তি মেলায় সংবাদ সম্মেলনে স্যামসাংয়ের আইটি এবং মোবাইল কমিউনিকেশন বিভাগের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কোহ ডং জিন ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা ৪ থেকে ৫ লাখ গ্যালাক্সি ফোল্ড বিক্রি করেছি।’
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বিক্রি কম হলেও দাম অনুযায়ী গ্যালাক্সি ফোল্ডের বিক্রির পরিমাণ অভাবনীয় বলে জানান তিনি। এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তুলনামূলক কম দামের ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে স্যামসাং।
মাসে এক লাখ হুয়াওয়ে মেট এক্স
বাজারে ছাড়ার পর মাসে প্রায় এক লাখ ফোল্ডেবল পর্দার ‘মেট এক্স’ স্মার্টফোন বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে হুয়াওয়ে। ফোনটি গত বছর নভেম্বরে চীনে প্রথম ছাড়া হয়।
হুয়াওয়ের ফোল্ডেবল স্মার্টফোন বিক্রির সংখ্যাটি প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ফোল্ডের চেয়ে বেশ কম। সেপ্টেম্বরে বাজারে আসে গ্যালাক্সি ফোল্ড।
গত বছর ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল হুয়াওয়ে ও স্যামসাং। তবে গ্যালাক্সি ফোল্ড অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে ক্রেতাদের নজর কাড়ে। এ ছাড়া ফোল্ডেবল ফোনের মধ্যে গত বছর মাইক্রোসফটের ডুয়ো এবং মটোরোলার রেজর বাজারে আনা হয়।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে বাজারে আনার ঘোষণা দিলেও মেট এক্সের ফোল্ডেবল পর্দাটি আরও উন্নত করতে বাজারে ছাড়ার দিন-তারিখ পিছিয়ে দিয়েছিল হুয়াওয়ে। পরে গত বছরের নভেম্বরে চীনের বাজারে ছাড়া হয় মেট এক্স।