অ্যাপলের নতুন স্মার্ট ঘড়ি অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৬-এ যুক্ত হয়েছে ব্লাড অক্সিমিটার। সুবিধাটি ব্লাড অক্সিজেন লেভেল বা লোহিত রক্তকণিকায় অক্সিজেনের পরিমাণ নির্ণয়ে সাহায্য করে। করোনাকালে সুবিধাটি বেশ কাজের বলে মনে করা হচ্ছে।
অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৬-এর ব্লাড অক্সিজেন সেন্সর এবং অ্যাপের সাহায্যে রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশন পরিমাপ করা যায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বাতাস থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সংগ্রহ রোগীর জন্য কঠিন হতে পারে। আর এ কারণেই রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতার সঙ্গে কোভিড-১৯ যুক্ত। অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৬ অক্সিজেন স্যাচুরেশন মেপে সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে দিতে পারে।
ব্লাড অক্সিজেন সেন্সর কীভাবে কাজ করে?
নতুন অ্যাপল ওয়াচের পেছনে ব্লাড অক্সিজেন সেন্সর যুক্ত করা হয়েছে। এতে লাল, সবুজ ও ইনফ্রারেড এলইডি বাতির সঙ্গে চারটি ফটোডায়োড আছে। ফটোডায়োডের কাজ হলো আলোকে বিদ্যুৎ তরঙ্গে রূপান্তর করা। এলইডি বাতিগুলো ব্যবহারকারীর কবজির ধমনিতে আলো বিকিরণ করে। ফটোডায়োডের কাজ হলো প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসা আলো শনাক্ত করা। এতে রক্তের রং বুঝতে পারে অ্যাপল ওয়াচ। রক্তের রং উজ্জ্বল লাল হলে তাতে যথেষ্ট অক্সিজেন আছে। আর রং গাড় হলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কম।
ব্লাড অক্সিজেন অ্যাপ কীভাবে কাজ করে?
অক্সিজেন স্যাচুরেশন পরিমাপের জন্য ব্লাড অক্সিজেন অ্যাপ চালু করে পর্দায় দেখানো নির্দেশনা অনুসরণ করুন। এতে ১৫ সেকেন্ডের মতো সময় লাগবে। তা ছাড়া ব্যবহারকারী বিশ্রামে থাকলে নির্দিষ্ট বিরতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অক্সিজেন স্যাচুরেশন পরিমাপ করবে অ্যাপল ওয়াচ। অ্যাপল হেলথ অ্যাপের সাহায্যে আইফোন থেকেও আপনি তথ্যগুলো দেখতে পাবেন।
এখানে দুটি বিষয় বিবেচ্য। প্রথমত, ১৮ বছরের কম বয়সীরা অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত, সব দেশে এখনো অ্যাপটি চালু হয়নি।
সূত্র: সিনেট