বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ভাইরাস কীভাবে তার রূপ বদল করছে বা মিউটেট হচ্ছে, তা বের করার দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা। বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা করোনার রূপবদল নিয়ে যে গবেষণা করেছেন, তা টিকা তৈরিতে কাজে লাগতে পারে। ডেকান হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গবেষকেরা বলেছেন, সব জীবেরই রূপবদল ঘটতে পারে। এ প্রক্রিয়া যথেচ্ছভাবে ঘটতেই থাকে। তবে করোনার ক্ষেত্রে এটি যথেচ্ছভাবে ঘটে না। মানুষের প্রতিরোধী সক্ষমতা ভাইরাসের ক্ষমতা কমাতে গিয়েই এর রূপবদল ঘটায়।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, প্রতিরোধী ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করে ক্ষমতা হারালেও ভাইরাসটি আবার ফিরে আসতে পারে। এ তথ্য কোভিড-১৯–এর বিরুদ্ধে নতুন টিকা তৈরির ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলেছেন, এলোমেলোভাবে জীবের রূপবদলের সময় জেনেটিক উপাদান নকল করতে গিয়ে ভুল হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়ার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘মলিকুলার বায়োলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা ১৫ হাজার জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে ৬ হাজার মিউটেশন শনাক্ত করেন।
বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লরেন্স হার্টস বলেন, ‘আমি অনেক জীবের মিউটেশন প্রোফাইল দেখেছি। প্রতিটির কিছু না কিছু ভুল পেয়েছি। তবে আমি করোনার মতো এত মজবুত আর অদ্ভুত মিউটেশন দেখিনি।’
ভাইরাসের প্রকৃত গঠন দেখে এবং ভাইরাসের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জায়গার মধ্যে তুলনা করে গবেষকেরা প্রমাণ পেয়েছেন, প্রাকৃতিক নির্বাচন, বা ‘বেঁচে থাকার যোগ্যতা’ বিবর্তনের প্রক্রিয়াটি ভাইরাসকে রূপবদলের প্রক্রিয়ায় টিকে থাকতে সাহায্য করছে।