ভ্যাকসিন তৈরিতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে চীন। দেশটির ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজির একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন চীনে মানবপরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করেছে। গতকাল শনিবার বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চায়নিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সের অধীনে থাকা ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজির গবেষকেরা এর আগে পোলিও এবং হেপাটাইটিস এ-র জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন। তাঁরা কোভিড-১৯-এর জন্য একটি নিষ্ক্রিয় ভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম পর্বের পরীক্ষা চালিয়ে সফল হওয়ার দাবি করেছেন।
চায়না ডেইলি ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় মানবদেহে এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিরূপণ ও নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। এটি চীনের দক্ষিণ-পূর্ব ইউনান প্রদেশে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
গত মে মাসে ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজির গবেষকেরা ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুরু করেন। সিচুয়ান প্রদেশের ওয়েস্ট চায়না সেকেন্ড ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ২০০ স্বেচ্ছাসেবী ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছিলেন।
এই ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ইউনান প্রদেশের কুনমিংয়ে ভ্যাকসিন উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। চলতি বছরের শেষ দিকে এ কারখানা থেকে ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করবে তারা।
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ভ্যাকসিন গবেষণার ক্ষেত্রে দারুণ সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানটির। এর আগে পোলিও ভ্যাকসিন তৈরি করে চীনের অনেক শিশুকে রক্ষা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
চীনে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার জন্য অনুমোদন পেয়েছে। বিশ্বে যতগুলো ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা পর্যায়ে গেছে, তার ৪০ শতাংশই চীনে। এমনটাই দাবি করেছে দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:
করোনার ভ্যাকসিনগুলো এখন যে অবস্থায় আছে
ভ্যাকসিনের দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ব্রিটেন—কে কোথায় আছে