করোনাভাইরাসের দ্রুত বিস্তার কমাতে ধনী দেশগুলোকে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে সহায়তার অনুরোধ করেছেন মানবহিতৈষী বিল গেটস। তাঁর মতে, করোনাভাইরাস শতাব্দীতে একবার আসা জীবাণুর মতো আচরণ শুরু করেছে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে এক সম্পাদকীয়তে মাইক্রোসফটের সাবেক চেয়ারম্যান লিখেছেন, ‘আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সাহায্য করার মাধ্যমে আমরা জীবন বাঁচাতে পারি এবং বিশ্বব্যাপী এর ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পারি।’
চীনে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৬টি দেশে তা ছড়িয়ে পড়েছে। গেটস লিখছেন, মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (এমইআরএস) বা সেভার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (সার্স) সৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলোর চেয়ে একে থামানো আরও কঠিন। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ১০ কোটি মার্কিন ডলার দান করেছে।
গেটসের আহ্বানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত শুক্রবার ডব্লিউএইচও বলছে, ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ডব্লিউএইচও। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে টেড্রস অ্যাডহানম বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস চিহ্নিত করা যাচ্ছে এখনো।
এ ভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা রুখতে সরকারগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যাবে এবং অন্য দেশ প্রস্তুতি নিতে সময় পাবে।
ডব্লিউএইচওর জরুরি কর্মসূচির প্রধান মাইক রায়ান বলেন, বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থা এখনো করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।
গেটস বলেছেন, নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন এবং ওষুধের বিকাশ ত্বরান্বিত করার জন্য রোগীদের নজরদারি ও উন্নত প্রযুক্তিতে বিশ্বকে বিনিয়োগ করতে হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কারিগরি সমাধান ছাড়াও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কথাও বলেছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা।