করোনাভাইরাস: জেনে নিন কোনটা ভ্রান্ত, কোনটা অভ্রান্ত

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

নতুন করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের প্রায় ১৭০টি দেশে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়াই স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই। মুশকিল হচ্ছে, এই আতঙ্কের সঙ্গে ভাইরাসটি নিয়ে নানা বিভ্রান্তিও ছড়িয়ে পড়ছে। নানা সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ ও সুরক্ষা কৌশল।

এসব অপরীক্ষিত কৌশল ও পরামর্শ যদি সঠিক না হয়, তবে এ থেকেও বিপদ ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া পরামর্শই অনুসরণ করা উচিত। যেহেতু বিশ্বে করোনাভাইরাসটি মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের নানা সংস্থার নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়ের কাজটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই করছে, সেহেতু তাদের দেওয়া তথ্যের ওপরই নির্ভর করাটা মঙ্গলজনক। আসুন, দেখে নেওয়া যাক ভাইরাসটি নিয়ে চারপাশে কী কী বিভ্রান্তি রয়েছে এবং এগুলো সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই–বা কী বলছে—

উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়াতেও কোভিড-১৯ ছড়ায় না—ভুল
নতুন করোনাভাইরাস উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় সংক্রমিত হয় না বলে একটি তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে উচ্চারিত হতে শোনা যায়। তথ্যটি ভুল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এখন পর্যন্ত উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়াসহ সব ধরনের পরিবেশ এবং এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জলবায়ু ও আবহাওয়া যেমনই হোক, সতর্ক থাকুন। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে এমন এলাকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকুন। মনে রাখবেন, কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত থাকার সবচেয়ে ভালো পথ হচ্ছে একটু পরপরই সাবান-পানি বা অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড রাব বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা। একই সঙ্গে হাত দিয়ে নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।

চীনে গত ফেব্রুয়ারিতে তুষারপাত ও ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল। ছবি: রয়টার্স

তুষার ও ঠান্ডা আবহাওয়া করোনাভাইরাসকে মারতে পারে—ভুল
করোনাভাইরাস বা অন্য কোনো রোগ প্রতিরোধে ঠান্ডা আবহাওয়া কার্যকর—এমনটি ভাবার কোনো কারণই নেই। কারণ, বাইরের তাপমাত্রা যা-ই হোক না কেন, মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৯৭-৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) মধ্যেই থাকে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোত্তম পন্থা সাবানজল বা হ্যান্ড-রাব দিয়ে ঘনঘন হাত পরিষ্কার করা। যুক্তরাজ্যে বিনা মূল্যে হাত পরিষ্কারের একটি বুথ। ছবি: রয়টার্স

গরম পানিতে গোসল করোনাভাইরাস রোধে কার্যকর—ভুল
নতুন করোনাভাইরাস থেকে প্রতিরোধের উপায় হিসেবে অনেকে গরম পানিতে গোসলের কথা বলছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গরম পানিতে গোসলের মাধ্যমে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে না। কারণ, বাইরের তাপমাত্রা যা-ই হোক না কেন, মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৯৭-৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) থাকে। মনে রাখবেন, কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত থাকার সবচেয়ে ভালো পথ হচ্ছে একটু পরপরই সাবান-পানি বা অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড রাব বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা। এর মাধ্যমেই আপনার হাতে থাকা জীবাণু অপসারিত হবে। একই সঙ্গে হাত দিয়ে নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।

নতুন করোনাভাইরাস মশার মাধ্যমে ছড়ানোর কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ছবি: রয়টার্স

মশার মাধ্যমে নতুন করোনাভাইরাস ছড়ায়—ভুল
সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় মশার মাধ্যমে নতুন করোনাভাইরাস ছড়ায় কি না, তা নিয়ে নানা জল্পনা আছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মশার মাধ্যমে নতুন করোনাভাইরাস ছড়ানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নতুন এই ভাইরাস শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ভাইরাস। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির সময় তাদের শ্বাসতন্ত্র থেকে নির্গত ড্রপলেট বা লালার বিন্দু বা নাক ঝাড়ার সময় নির্গত জলকণার মাধ্যমে ছড়ায়। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে একটু পরপর হাত পরিষ্কার করুন এবং হাত দিয়ে নাক-চোখ-মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। একই সঙ্গে হাঁচি-কাশি রয়েছে—এমন ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

হাত ধোয়ার পর তা শুকিয়ে নিন। ছবি: সংগৃহীত

নতুন করোনাভাইরাস মারতে হ্যান্ড ড্রায়ার কার্যকর—ভুল
হ্যান্ড ড্রায়ার দিয়ে হাত শুষ্ক করার মাধ্যমে নতুন করোনাভাইরাসকে মারা যায় না। কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত থাকার সবচেয়ে ভালো পথ হচ্ছে একটু পরপরই সাবান-পানি বা অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড রাব বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা। হাত ধোয়ার পরপরই টিস্যু পেপার বা উষ্ণ বাতাস বা হ্যান্ড ড্রায়ার দিয়ে হাত শুকিয়ে নিন। একই সঙ্গে হাত দিয়ে নাক-চোখ-মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।

অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ছবি: সংগৃহীত

অতিবেগুনি রশ্মিতে করোনাভাইরাস মরে—প্রমাণ নেই
অতিবেগুনি রশ্মিতে করোনাভাইরাস মরে কি না, তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে, এ রশ্মি থেকে ত্বকের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

থার্মাল স্ক্যানারে শরীরে বাড়তি উত্তাপ বা জ্বর থাকলে ধরা পড়ে, যা করোনাভাইরাস সৃষ্ট রোগের একটি লক্ষণ। ছবি: রয়টার্স

থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়—পুরোপুরি ঠিক নয়
কারও শরীরে জ্বর থাকলে, তা থার্মাল স্ক্যানারে ধরা পড়বে। নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়, তার একটি হলো জ্বর। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর হয় না। এমন লক্ষণ প্রকাশ পেতে ২ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। তাই জ্বর নেই, কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত—এমন ব্যক্তিকে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শনাক্ত করা যায় না।

অ্যালকোহল বা ক্লোরিন দিয়ে ঘরদোর পরিষ্কার করা যেতে পারে। ছবি: রয়টার্স

সারা শরীরে অ্যালকোহল বা ক্লোরিন ছিটিয়ে কি করোনামুক্ত থাকা যায়—ভুল
এককথায় উত্তর, ‘না’। পশ্চিমা দেশে এ ধরনের কিছু বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যে ভাইরাস এরই মধ্যে শরীরে প্রবেশ করেছে, তাকে মারতে সারা শরীরে অ্যালকোহল বা ক্লোরিন বা ব্লিচিং ছড়িয়ে কোনো লাভ নেই। এ ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শ চোখ ও মুখের ত্বক ও ঝিল্লি (মিউকাস মেমব্রেন) ক্ষতি করে। এ দুটি রাসায়নিকই ঘরদোর পরিষ্কারের কাজে লাগে। তবে ব্যবহারের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ মেনে ব্যবহার করতে হবে।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। ছবি: রয়টার্স

নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে—ভুল
না। নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন বা হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি ভ্যাকসিনসহ নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন শুধু নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধেই কার্যকর। এগুলো নতুন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেবে না। এই ভাইরাস একেবারেই নতুন এবং আগেরগুলোর চেয়ে আলাদা যে এর প্রতিরোধে একেবারে নতুন ভ্যাকসিনেরই প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশের গবেষকেরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছেন, যেখানে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিদ্যমান ভ্যাকসিনগুলো কোভিড-১৯–এর বিরুদ্ধে কার্যকর না হলেও শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা রোধে বিদ্যমান ভ্যাকসিন যেকোনো মানুষেরই গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

লবণ-পানি বা স্যালাইন দিয়ে নিয়মিত নাক পরিষ্কার করে নতুন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা যায় না। ছবি: রয়টার্স

লবণ-পানি বা স্যালাইন দিয়ে নিয়মিত নাক ধুলে কি সুরক্ষিত থাকা সম্ভব—ভুল
না। লবণ-পানি বা স্যালাইন দিয়ে নিয়মিত নাক পরিষ্কার করে নতুন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়—এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় এ কৌশল কাজে লাগে। শ্বাসপ্রশ্বাসের কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে এটি কার্যকর নয়।

রসুন, থানকুনি বা তুলসীপাতা শরীরের জন্য ভালো হলেও এগুলো কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা দেয় না। ছবি: রয়টার্স

রসুন বা এমন কিছু করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে পারে—ভুল
রসুন স্বাস্থ্যকর খাবার এবং এর রয়েছে অণুজীবনাশক ক্ষমতা। একইভাবে থানকুনি বা তুলসীপাতাও স্বাস্থ্যকর এবং এগুলোর নানা ঔষধি গুণ রয়েছে। কিন্তু এর কোনোটিরই করোনাপ্রতিরোধী কোনো ক্ষমতা নেই। এমন কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি হলেও নতুন করোনাভাইরাসে সব বয়সীরাই আক্রান্ত হতে পারে। ছবি: রয়টার্স

নতুন করোনাভাইরাসে শুধু বয়স্ক ব্যক্তিরা আক্রান্ত হন—ভুল
নতুন করোনাভাইরাস সব বয়সী মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। বয়স্ক মানুষ বিশেষত যাদের অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে, তাদের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সব বয়সী ব্যক্তিদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত হাত ধোয়া ও শ্বাসপ্রশ্বাস সম্পর্কিত সু-অভ্যাসের ওপর জোর দিচ্ছে সংস্থাটি।

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে নয়। ছবি: রয়টার্স

নতুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর—ভুল
অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না। এটি শুধু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। নতুন করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ একটি ভাইরাস। তাই এর প্রতিরোধ বা চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অনেক রোগীকে হয়তো অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, সেগুলো করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য নয়, বরং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ যেন না ঘটে, সেজন্য দেওয়া হচ্ছে।

সবার আগে আক্রান্ত হওয়া চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে। ছবি: রয়টার্স

নতুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বা এর চিকিৎসায় কোনো সুনির্দিষ্ট ওষুধ আছে—ভুল
নতুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বা এর চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট ওষুধ নেই। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রকাশিত বিভিন্ন উপসর্গ অনুযায়ী তাকে চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। যাদের অবস্থা গুরুতর হবে, তাদের বিশেষ পরিচর্যার আওতায় নিতে হবে। এর ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার জন্য সুনির্দিষ্ট ওষুধ তৈরিতে গবেষণা চলছে। এ–সম্পর্কিত গবেষণার গতি বাড়াতে বিভিন্ন দেশে কাজ করে চলা গবেষক ও সংস্থাগুলোকে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কোনো সুনির্দিষ্ট ওষুধ আবিষ্কৃত হলে তার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে আগে।

তথ্যসূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)

আরও পড়ুন: