অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কনটেন্ট রাইটিংয়ের বেশ চাহিদা রয়েছে। স্থানীয়ভাবেও অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। কনটেন্ট রাইটার হতে হলে বেশ কিছু বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে:
১. ক্লায়েন্ট কী ধরনের কনটেন্ট চায়, তা বোঝা। যেমন নিবন্ধ, স্নিপেট, প্রমোশন কপি, ইত্যাদি।
২. যথাযথ কনটেন্ট লেখা। (বানান বিভ্রাট ঠিক করা এবং সম্পাদনা আবশ্যক)
৩. যথাসময়ে কনটেন্ট জমা দেওয়া।
কনটেন্ট ৩০০ থেকে শুরু করে ১০ হাজার শব্দের বেশিও হতে পারে। কনটেন্ট ব্যাকরণের দিক থেকে শুদ্ধ হতে হবে, স্থানীয় ভাষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে এবং ক্লায়েন্টের নির্ধারিত পাঠকের উদ্দেশে রচিত হতে হবে।
এরপর রয়েছে কনটেন্ট লেখকের দক্ষতা। যেহেতু বেশির ভাগ ক্লায়েন্ট ইংরেজি কনটেন্ট খোঁজেন, তাই লেখকদের ইংরেজি ভাষার ওপর সুনিপুণ দখল থাকা উচিত।
একই সঙ্গে প্রকাশভঙ্গি (লেখার ধরন ও অভিব্যক্তি), মান দেশ অনুযায়ী হবে (যেমন আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য ইত্যাদি)। এ কারণেই বিদেশি সংস্কৃতি বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ।
কনটেন্ট লেখকদের তাঁদের চারপাশের পৃথিবী সম্পর্কে মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত। লেখার পূর্বে বিষয়বস্তু সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং কেন কনটেন্ট লেখা হচ্ছে, সে উদ্দেশ্য বুঝতে হবে।
উপরন্তু, প্রত্যেক কনটেন্ট লেখককে তাঁর চিন্তাভাবনা যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পারতে হবে। এমনভাবে লিখতে হবে যেন যেকোনো শিক্ষিত মানুষ বিষয়বস্তু পুরোপুরি বুঝতে পারে। তবে বিশেষ ধরনের কনটেন্টে এবং প্রযুক্তিগত কনটেন্টের হিসাব ভিন্ন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) মৌলিক ধারণা, ওয়ার্ডপ্রেস, এইচরেফস-এর দক্ষতা হলো বোনাস।
প্রত্যেক কনটেন্ট লেখককে আন্তরিকভাবে জ্ঞানপিপাসু হতে হবে। পৃথিবী সম্পর্কে কৌতূহলী হতে হবে এবং সর্বোপরি লিখতে ভালোবাসতে হবে। ইন্টারনেটে লাখ লাখ চমৎকার বিষয় পাওয়া যায় এবং কনটেন্ট লেখকের উচিত বিভিন্ন প্রকাশভঙ্গি, বিন্যাস এবং উপস্থাপনের কৌশল লক্ষ করা। যখন লিখছেন না, তখন পড়ুন। এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য সময় প্রয়োজন, তাই ধৈর্য ধরে লেগে থাকার অনুরোধ রইল।
তবে চেষ্টা করুন এমন একজন শিক্ষক খুঁজে বের করতে, যিনি আপনাকে দিকনির্দেশনা দেবেন এবং আপনার লেখা সম্পর্কে পর্যালোচনা জানাবেন। এটি আপনাকে সফল হতে সহযোগিতা করবে। এরপর স্থানীয় কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করে পোর্টফোলিও তৈরি করে, তারপর বড় মার্কেটপ্লেস যেমন আপওয়ার্ক বা ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলুন।