করোনার সময়ে মানুষ অনলাইনমুখী হয়েছে ঠিকই। তবে জাতিসংঘ বলছে, এখনো প্রায় ২৯০ কোটি মানুষ কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩৭ শতাংশ।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) অনুমান অনুযায়ী, ওই ২৯০ কোটি মানুষের ৯৬ শতাংশের বাস উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।
আইটিইউর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ইন্টারনেটে যুক্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪১০ কোটি। করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর সবাই ঘরে থেকে কাজ শুরু করায় চলতি বছর সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯০ কোটি।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবহারকারীদের মধ্যেও আবার অনেকে হয়তো কদাচিৎ ইন্টারনেটে যুক্ত হন, হয়তো অনেকে মিলে একটাই ডিভাইস ব্যবহার করেন, হতে পারে পর্যাপ্ত গতির অভাবে ঠিকমতো ওয়েব ব্রাউজের সুযোগই পান না।
আইটিইউর মহাসচিব হাউলিন জাও বলেন, ‘বাকি ২৯০ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটে যুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করবে আইটিইউ। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে।’
করোনা অতিমারির প্রথম বছরে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, যা গত এক দশকে সবচেয়ে বড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি। এর পেছনে কারণ হিসেবে বিধিনিষেধ, স্কুল বন্ধ থাকা এবং অনলাইন ব্যাংকিং সেবার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেছে আইটিইউ।
ইন্টারনেটে যুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়লেও এই বৃদ্ধির হার সব দেশে সমান নয়। দরিদ্র দেশগুলোতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে না। সবচেয়ে কম উন্নত ৪৬টি দেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মানুষ কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেননি।
বয়স্ক, নারী ও গ্রামীণ মানুষদের তুলনায় তরুণ, পুরুষ এবং শহুরেরা সচরাচর ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করে। আর লিঙ্গবৈষম্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশি বলেও উঠে আসে প্রতিবেদনে।