এবার বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন

মহাকাশ স্টেশনের প্রতীকী
ছবি।  সংগৃহীত

বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন তৈরিতে তিনটি সংস্থাকে কয়েক কোটি মার্কিন ডলার তহবিল সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। গত বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বিকল্প হিসেবে বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশনগুলো ব্যবহার করা যাবে। এ দশকের শেষেই অবসরে যাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন।

নাসার অর্থায়ন পাওয়া সংস্থাগুলো হচ্ছে মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন, মহাকাশ সংস্থা ন্যানোর‌্যাকস ও প্রতিরক্ষা ঠিকাদার নর্থরপ গ্রুমান। প্রতিষ্ঠান তিনটি মহাকাশ স্টেশন গড়তে যথাক্রমে ১৩ কোটি, ১৬ কোটি ও ১২ কোটি ৫৬ লাখ মার্কিন ডলার অর্থায়ন পেয়েছে। এর আগে অ্যাক্সিওম স্পেস নামের আরেকটি কোম্পানিকে নাসা ১৪ কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে।

আগে নাসা নিজে থেকে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার তৈরিতে কাজ করলেও ধীরে ধীরে তারা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। খরচ সাশ্রয় করার পাশাপাশি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জনের জন্যই এ পথে হাঁটতে হচ্ছে সংস্থাটির। নাসার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে চাঁদে বসতি স্থাপন ও মঙ্গল গ্রহে নভোচারী পাঠানোর মতো নানা বিষয়।

নাসার প্রধান বিল নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মহাকাশে স্টেশন তৈরির জন্য অংশীদার হচ্ছি, যাতে সেখানে ভ্রমণ, বসবাস ও কাজ করা সম্ভব হয়। এর মাধ্যমে নাসা মহাকাশে বাণিজ্যিক কার্যক্রম উত্সাহিত করার পাশাপাশি মানুষের সুবিধার জন্য নানা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।’

নাসার বাণিজ্যিক মহাকাশযাত্রার পরিচালক ফিল ম্যাকঅ্যালিস্টার বলেন, ‘এ পুরস্কার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মহাকাশে অবিচ্ছিন্ন মানব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের শূন্যতা ভালো কিছু হবে না।’

ব্লু অরিজিন নামের প্রতিষ্ঠানটি আরেক মহাকাশ সংস্থা সিয়েরা স্পেসের সঙ্গে মিলে ‘অরবিটাল রিফ’ নামের মহাকাশ স্টেশন তৈরি করছে। এ দশকের দ্বিতীয়ার্ধে এ মহাকাশ স্টেশন তৈরি হবে। এতে ১০ জনের আবাসন সুবিধা থাকবে। মহাকাশ সংস্থা ভয়েজার স্পেস ও লকহিড মার্টিনের সঙ্গে মিলে ন্যানোর‌্যাকস ‘স্টারল্যাব’ নামে মহাকাশ স্টেশন তৈরি করছে। ২০২৭ সালে এ স্টেশন তৈরি হতে পারে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কার্গো সরবরাহ করতে ‘সিগনাস’ নামে মহাকাশযান তৈরি করেছে নর্থরপ গ্রুমান। সংস্থাটি বিভিন্ন মডিউল একত্র করে মহাকাশ স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এতে থাকবে বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণার সুযোগ ও পর্যটনসুবিধা।