প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী, বাংলা ১ম পত্রে ভালো নম্বর পেতে হলে কি করবে তা আলোচনা করা হলো।
সৃজনশীল পদ্ধতিতে তোমার পাঠ্যসূচির কোনো গল্প বা কবিতার আলোকে একটি মৌলিক উদ্দীপক এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের চারটি অংশ থাকবে। যে গল্প বা কবিতার আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে, সেই গল্প বা কবিতা থেকেই থাকবে জ্ঞান এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্ন। এ প্রশ্ন দুটির উত্তর করতে উদ্দীপকে যেতে হবে না। প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন হবে উদ্দীপক ও পাঠ্যবই-সংশ্লিষ্ট।
মনে রেখো, একটি প্রশ্নের (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন) উত্তর লিখতে ১৮ মিনিট সময় পাবে। সৃজনশীল পদ্ধতিতে যেহেতু চারটি অংশ (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন।
তাই যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লিখলে তার চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে শেষ করবে।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর ১। এ প্রশ্নের উত্তর একটি বাক্যে দেবে।
যেমন—
প্রশ্ন: ক. কবি কামিনী রায় কত সালে জন্মগ্রহণকরেন?
উত্তর: কবি কামিনী রায় ১৮৬৪ সালে জন্মগ্রহণকরেন।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নে কবির নামের বানান ‘কামিনী রায়’ না লিখে কামিনি রায় ও জন্ম সাল ‘১৮৬৪’ না লিখে ১৮৫৪ লিখলে উত্তর কাটা যাবে, শূন্য পাবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর ২। এক নম্বর জ্ঞানের জন্য, আরেকটি নম্বর অনুধাবনের জন্য। জ্ঞানমূলকের উত্তর আগে লিখে অনুধাবনের উত্তর পরে লেখাই ভালো। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর এক প্যারাতেও লেখা যায়, দুই প্যারাতেও লেখা যায়। তবে দুই প্যারাতে লেখার চেষ্টা করবে। আর অনুধাবনমূলক প্রশ্নের শুরুতে অযথা কবি বা সাহিত্যিককে নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করবে না। মনে রাখতে হবে, সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর হবে ‘জিরো ফ্যাট’ অর্থাৎ চর্বিশূন্য। প্রয়োগমূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। যদিও এক প্যারাতে সব তথ্য দিয়ে উত্তর লিখলেও হবে। তবে দু-তিন প্যারা করাই ভালো। প্রয়োগ ব্যাপারটি হলো, শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে, তা নতুন ক্ষেত্রে অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকটি যে ভাব-এর আলোকে তৈরি করা হয়েছে অর্থাৎ উদ্দীপকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গল্প বা কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য বা বৈসাদৃশ্য থাকে সেটাই জ্ঞান। ওই দিকটি একটি বাক্যে লিখতে পারলেই ১ নম্বর। তারপর ওই দিকটি বা প্রসঙ্গটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করাই হলো অনুধাবন। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন অংশের উত্তর লিখবে এবং সবশেষে ওই দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা বর্ণনা করাই প্রয়োগ।
উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকবে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়, তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে, উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয় তাহলে কেন ভুল, সেটাও প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে, তা বর্ণনা করে যে যে ক্ষেত্রে মিল নেই তাও বর্ণনা করবে।
শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল, ঢাকা