ভুয়া পর্যালোচনা বা রিভিউ লেখকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে জনপ্রিয় ই-কমার্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আমাজন। যেসব দেশ থেকে এ ধরনের ভুয়া পর্যালোচনা লেখা হচ্ছে সে তালিকার ওপরের দিকে বাংলাদেশের নাম রয়েছে। এ ছাড়াও এ তালিকায় চীন ও ফিলিপাইন রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, প্রায় এক হাজার ভুয়া রিভিউকারীর বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্যোগ নিচ্ছে আমাজন। অনলাইন পেশাজীবীদের মার্কেটপ্লেস ফিভেরের (www.fiverr.com) মাধ্যমে অধিকাংশ ভুয়া রিভিউ লেখা হয়েছে। এ ফ্রিল্যান্স সাইট থেকে যাঁরা ফ্রিল্যান্স কাজ নিয়ে ভুয়া রিভিউ লিখেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে আমাজন কর্তৃপক্ষ। এ সাইট থেকে বিভিন্ন বই এবং অন্যান্য পণ্যের ভালো রিভিউ লেখার ফ্রিল্যান্স কাজ দেওয়া হয়। অনেক ফ্রিল্যান্সার এই কাজ নিয়ে ভুয়া রিভিউ লিখে থাকেন। বাংলাদেশি কিছু ফ্রিল্যান্সারের নাম এ তালিকায় আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ধরনের অনেক অ্যাকাউন্ট আমাজনের সাইট থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
আমাজনের একজন মুখপাত্র ইন্ডিপেনডেন্টকে বলেছেন, ‘গ্রাহকদের কাজের উপযোগী ও বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা পর্যালোচনা চাই আমরা। তবে ফ্রিল্যান্সারদের ভুয়া রিভিউ আমাদের উদ্যোগে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ভুয়া রিভিউগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভুয়া রিভিউকারীর বিরুদ্ধে মামলার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে, বিশ্বের যেসব দেশ ফ্রিল্যান্স বা আউটসোর্সিংয়ে ভালো করছে সে তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে। তবে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের বিরুদ্ধে ভুয়া রিভিউ লেখার অভিযোগ ওঠা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ‘বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের এ ধরনের কাজ আন্তর্জাতিক আউটসোর্সিং বাজারে দেশের সুনাম নষ্ট করতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক আউটসোর্সিং কাজ আসছে। তবে আমাদের কাজের মান ধরে রাখা এবং বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ থেকে কাজ নেওয়ার পূর্বে এবং কাজ করার সময় নৈতিক বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এতে আমাদের দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের কদর বাড়বে।’