আধুনিক সুযোগ-সুবিধার দামি গাড়ি কিনে ভাবছেন তা বেশ নিরাপদ। কিন্তু এই যুগে হ্যাকাররা কি বসে থাকবে? তারা ইতিমধ্যে আধুনিক গাড়ি হ্যাক করার পদ্ধতি বের করে ফেলেছে। যেসব গাড়িতে ধাতব চাবির ব্যবহার হয় না, সেসব গাড়িও চোখের পলকেই হ্যাক করে ফেলছে হ্যাকাররা। এমনই এক হ্যাকিং পদ্ধতি সামনে এনেছেন ইভানকানেক্ট নামের এক হ্যাকার।
ইভানকানেক্ট তাঁর তৈরি বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে বিলাসবহুল গাড়ি সহজে হ্যাক করেও দেখিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ‘কিলেস রিপিটার’ নামের ছোট আকারের ওই যন্ত্র ব্যবহার করে সহজে ধাতব চাবিহীন গাড়ির দরজা খোলা ও গাড়ি স্টার্ট দেওয়া যায়। ডিভাইসটি নয় হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি করছেন তিনি। সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত এক ভিডিওতে ডিভাইসটি কীভাবে কাজ করে, তা দেখিয়েছেন তিনি।
ভিডিওতে দেখা যায়, আগে থেকে অনুমতি নিয়ে রাখা বন্ধুর একটি গাড়ির দিকে হাতে একটি যন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যান ইভানকানেক্ট। অ্যানটেনাযুক্ত ওই ডিভাইস ব্যবহার করে গাড়ির পাশের দরজা খুলে ফেলে ইঞ্জিনও চালু করেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিডিওতে ইভানকানেক্ট স্বীকার করেন, চাইলে যেকেউ যেকোনো উদ্দেশ্যে ডিভাইসটিকে ব্যবহার করতে পারে। শুধু যেসব বিলাসবহুল গাড়ি ২২ এবং ৪০ কিলোহার্টজের মধ্যবর্তী তরঙ্গ ব্যবহার করে, সেগুলো আনলক করা যাবে না। এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে মার্সিডিজ, অউডি, পোরশে, বেন্টলি এবং রোলস রয়েসের ২০১৪ সালের পরে বাজারে আসা মডেলগুলো।
ইভানকানেক্ট বলেছেন, ‘সত্যি করে বলতে পারি, এই প্রযুক্তির সাহায্যে গাড়ি চুরি করিনি আমি। যদিও এটি করা খুবই সহজ। তার চেয়ে বরং আমি মনে করি, অন্যদের কাছে এটি বিক্রি করে যদি অর্থ উপার্জন করা যায়, তাহলে হাত নোংরা করে কী লাভ।’
তবে ১২ হাজার মার্কিন ডলার দামের ডিভাইসটির হালনাগাদ সংস্করণে ওয়্যারলেস ফব সিস্টেমযুক্ত যেকোনো বিলাসবহুল গাড়ি হ্যাক করা যাবে বলে দাবি করেন ইভানকানেক্ট। আধুনিক গাড়িতে ব্যাপক নিরাপত্তার কথা বলাও এ ধরনের যন্ত্রের সাহায্য তা হ্যাক করে ফেলায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
ভাইসের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ স্যামি কামকার ইভানকানেক্টের ফুটেজটি পরীক্ষা করার পর জানান, ‘কিলেস রিপিটার’ ডিভাইসটির প্রযুক্তি নতুন কিছু নয়। অনেক আগে থেকেই প্রযুক্তিটি পরিচিত। তবে ভিডিওটি সত্য কি না, তার নিশ্চয়তা দেননি তিনি।