ফিনটেক ও ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনকে ত্বরান্বিত করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম (আইডিটিপি) বাস্তবায়নের সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। গত সোমবার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে এ সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহা-ব্যবস্থাপক মেসবাউল হক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষে আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সৈয়দ মজিবুল হক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০১৮’ এর কর্মপরিকল্পনার আলোকে ই-পেমেন্ট ও মোবাইল পেমেন্ট চালু করতে হলে ইন্টার-অপারেবিলিটি, ট্রানজেকশন ভেলিডেশন, সিমলেস ফান্ড রাউটিং ও সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম (আইডিটিপি) বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে যা ক্যাশ লেস সোসাইটি গঠনে সহায়ক, সর্বোপরি অর্থ জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন সহ অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধ রোধে সহায়ক হবে।
ডিজিটাল অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিনিময়যোগ্যতা, কম খরচ, নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্পের (আইডিয়া) মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এটি মূলত একটি প্ল্যাটফর্ম সার্ভিস যার অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) ব্যবহার করবে ফিনটেক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে অর্থ লেনদেন, স্থানান্তর, ই-কমার্স, এম-কমার্স, বিল পেমেন্ট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, রেমিট্যান্স আদান প্রদান, মেশিন-টু-মেশিন পেমেন্ট ইত্যাদি করা যাবে।
আইডিটিপি বিভিন্ন পেমেন্ট সার্ভিস অংশগ্রহণকারীদের যেমন-গ্রাহক, মার্চেন্ট, অর্থ প্রদান ও গ্রহণকারী, পেমেন্ট প্রসেসর, ই-ওয়ালেট, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লেনদেনের একটি সেতুবন্ধন তৈরি করবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম প্রমুখ।