অ্যান্ড্রয়েড কিউ অপারেটিং সিস্টেমের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত করেছে গুগল। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নামকরণের ক্ষেত্রে মিষ্টান্নের নাম বাদ দিয়ে সরাসরি সংখ্যাতে চলে এসেছে। তাই অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণটিকে তাই তারা বলছে ‘অ্যান্ড্রয়েড টেন’। ইতিমধ্যে নতুন এ অপারেটিং সিস্টেম কয়েক দফা ডেভেলপার ও পাবলিক বিটা সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে, এমন বেশ কিছু ফিচার রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড টেনে। জেনে নিন কয়েকটি ফিচার সম্পর্কে:
ডার্ক মোড: পাবলিক বিটা সংস্করণ উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে ডার্ক মোড ফিচারটি যুক্ত হয়েছে। পরে গুগলের ডেভেলপার সম্মেলন আইওতে এ ফিচার নিশ্চিত করা হয়। সেটিংস অ্যাপের ব্যাটারি ট্যাব থেকে ডার্ক থিম চালু করা যাবে। গুগল গত কয়েক মাসে তাদের বেশ কিছু অ্যাপে এ মোড যুক্ত করেছে।
প্রাইভেসি: অ্যান্ড্রয়েড টেন সংস্করণে প্রাইভেসি সুরক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে গুগল। অ্যাপে লোকেশন অ্যাকসেসে যাতে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ থাকে. সে বিষয়টি যুক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া লোকেশন সেবাটি চালু বা বন্ধ করার সুবিধার পাশাপাশি কোনো অ্যাপে অনুমতি ছাড়া লোকেশন সেবা চালু হবে না, তা নিশ্চিত করবে।
ফাস্ট শেয়ার: অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণে আসতে পারে দ্রুতগতির শেয়ারিং সেবা ফাস্ট শেয়ার। এতে দ্রুত স্মার্টফোন থেকে ফাইল দ্রুত শেয়ার করা যাবে। এর আগে অ্যান্ড্রয়েড বিম নামে এ ধরনের সেবা এনেছিল গুগল। তবে পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ব্যাটারি ইনডিকেটর: ফোনে কতটুকু চার্জ আছে, তা দেখার জন্য যে ব্যাটারি ইনডিকেটর থাকে তা অ্যান্ড্রয়েড টেনে বদলে যেতে পারে। এতে ব্যাটারির চার্জ শতাংশে দেখানোর পাশাপাশি সময় হিসাব করে দেখানো হবে। ব্যাটারির চার্জ নির্দিষ্ট সীমার নিচে নেমে গেলেই এ বার্তা দেখানো হবে।
ভিন্ন কালার থিম: ইউজার ইন্টারফেসে (ইউআই) পরিবর্তন আনার পাশাপাশি বিভিন্ন রঙের থিম ব্যবহারের সুযোগ আসতে পারে নতুন অ্যান্ড্রয়েডে। বিটা সংস্করণের ডেভেলপার অপশনে এ সুবিধা থাকলেও চূড়ান্ত সংস্করণে হয়তো থিমের সংখ্যা সীমিত করে দেওয়া হতে পারে।
পাসওয়ার্ড টাইপ ছাড়া ওয়াই–ফাই: স্মার্টফোন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত করার বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েডের হালনাগাদ সংস্করণে আরও সহজ হবে। ব্যবহারকারীকে প্রতিবার পাসওয়ার্ড টাইপ করতে হবে না। কিউআর কোড ব্যবহার করেই ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা যাবে। এতে ওয়াই-ফাই সেবাদাতাকে বারবার পাসওয়ার্ড বলার প্রয়োজন পড়বে না।
উন্নত ক্যামেরা ব্যবহারের সুযোগ: থার্ড পার্টির অ্যাপ ব্যবহার করে উন্নত ছবি তোলার সুযোগ থাকবে। অ্যান্ড্রয়েড টেনে ডেভেলপাররা ছবির ডেপথ, বিষয়বস্তু থেকে দূরত্বের মতো নানা তথ্য পাবেন। তবে ছবির মান ভালো হবে।
অধিক অডিও-ভিডিও ফরম্যাট সমর্থন: অ্যান্ড্রয়েড টেনে আরও বেশি ভিডিও কোডেক সমর্থন করবে। এতে ব্যবহারকারীরা তাঁদের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও অডিও শুনতে পারবেন।
নতুন অ্যাপ অ্যালার্ট: এখন কোনো অ্যাপ সহজেই বন্ধ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। অ্যাপ নোটিফিকেশনে বেশিক্ষণ চাপ দিলে তা ব্লক করার সুবিধা চলে আসবে। এ ছাড়া নোটিফিকেশন সাইলেন্ট করার সুবিধাও থাকবে।
ডেস্কটপ ও ল্যাপটপে সংযোগ ও ভাঁজ করা ফোন সমর্থন: অ্যান্ড্রয়েড টেনে থাকবে বিশেষ ডেস্কটপ মোড, যা হ্যান্ডসেটকে সহজে ডেস্কটপের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। এতে কাজকর্মে আরও বেশি গতিশীলতা বাড়বে। অ্যান্ড্রয়েড টেনে ভাঁজ করা স্ক্রিনের জন্য বিশে ইউজার ইন্টারফেস থাকবে। গত বছরেই গুগল এ তথ্য প্রকাশ করেছিল। নতুন এই ওএস সংস্করণ ইউজার ইন্টারফেসে বিভিন্ন উপাদান ও নকশাকে ডিসপ্লের হার্ডওয়্যার অনুযায়ী বদলে ফেলতে পারবে।