তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন কোনো রূপকথা নয়। এটা এখন আর একক নেতা বা আওয়ামী লীগের রূপকল্পও নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দেশের ১৭ কোটি মানুষের।
আজ শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০২১, ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তখন বাংলাদেশ ছিল একটা নিম্ন আয়ের দরিদ্র দেশ। কিন্তু লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে প্রযুক্তিনির্ভর। তখন অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি। মাত্র ১৩ বছরে একটা দেশকে এভাবে পরিবর্তন করার নজির বিশ্বের ইতিহাসে নেই। কিন্তু সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারের সকল কার্যক্রম এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রয়েছে বলে জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের পর গত আট মাসে সরকারি কোনো কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। সরকারিভাবে ১০ লাখ ই-ফাইল সম্পাদনা করা হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১২ ডিসেম্বর চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত।’ ডিজিটাল বাংলাদেশের ১২ বছর উপলক্ষে সভা-সেমিনার, টক শো, কুইজ, চিত্রাঙ্কন, রচনা, বক্তৃতা, নাটকসহ নানান আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া ১২ ডিসেম্বর রাত আটটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। ডিজিটাল দিবসের পুরস্কার বিতরণী এবং মূল অনুষ্ঠান ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন ও অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ এবং প্রশাসন) মোহাম্মদ আবুল হাশেম এবং প্রিয়ডটকমের জাকারিয়া স্বপন।