ফেসবুক তাদের কণ্ঠস্বর শনাক্তকারী প্রোগ্রাম বা ভয়েস রিকগনিশন টুল উন্নত করতে অর্থের বিনিময়ে ভয়েস রেকর্ড নিচ্ছে। অবশ্য সবার জন্য অর্থ আয়ের এ সুযোগ নেই। ফেসবুক যুক্তরাষ্ট্রে কেবল নির্বাচিত কিছু ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট কিছু বাক্য রেকর্ড করার জন্য ৫ ডলার করে দেবে। ফেসবুকের ক্যামেরা সুবিধার হোম ডিভাইস পোর্টালে এ ভয়েস ব্যবহার হতে পারে।
ব্যবহারকারীকে বলতে হবে ‘হেই পোর্টাল, কল.... ’। এরপর কোনো ফেসবুক বন্ধুর নাম দুইবার করে মোট ১০ বার বলতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৫ মিনিট সময় লাগতে পারে। প্রতিটি ধাপ বা কাজ শেষ হলে ২০০ পয়েন্ট করে পাওয়া যাবে। পুরো প্রক্রিয়া ৫ বার সম্পন্ন করা হলে এক হাজার পয়েন্ট হবে যার বিনিময়ে ৫ ডলার দেবে ফেসবুক। পেপ্যালের মাধ্যম ওই অর্থ গ্রহণ করা যাবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাজার গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ভিউপয়েন্টস অ্যাপের মাধ্যমে ‘প্রোনাউনসিয়েশনস’ নামের এই সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। ফেসবুকের বিভিন্ন পণ্য বা সেবা যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, অকুলাস ভিআর হেডসেট ও পোর্টালে এসব তথ্য কাজে লাগানো হবে।
মানুষের কণ্ঠস্বর বড় বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে সংগ্রহ করে এবং তা নিয়ে গবেষণা চালায় এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। বিভিন্ন প্রাইভেসি নীতিমালা ও ব্যবহারকারীর সঙ্গে চুক্তির আওতায় তারা কণ্ঠস্বর সংগ্রহ করলেও এসব নীতিমালা অনেকেই পড়ে দেখেন না। কিন্তু ব্যবহারকারীর অজান্তেই কণ্ঠস্বর নেওয়ার বিষয়টি নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত বলে অনেকেই অভিযোগ তুলছিলেন। সম্প্রতি গুগল, অ্যাপল, ফেসবুকের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বর পর্যালোচনায় কর্মীর ব্যবহার বন্ধ করার ঘোষণা এসেছে।