অনলাইনে সরকারের বিভিন্ন সেবা নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে ‘একপে’, ‘একসেবা’ ও ‘একশপ’ নামের তিনটি ওয়েব পোর্টাল। বিভিন্ন সুবিধা সরকারি সেবা, বিল পরিশোধ, কেনাকাটা ও ডিজিটাল মিউনিসিপ্যালটি সার্ভিস পাওয়া যাবে এই পোর্টালগুলোতে। ২০ অক্টোবর এই তিন পোর্টালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
একসেবা
সরকারি সেবার মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে ‘একসেবা’ (www.eksheba.gov.bd)। বর্তমানে এই ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে ১৬২টি সরকারি সেবা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব সেবা এতে যুক্ত হবে (প্রায় তিন হাজার সেবা)। অনলাইনে সেবার জন্য আবেদনপত্র দাখিল ও সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ রয়ছে এতে। সেবাপ্রত্যাশী কাঙ্ক্ষিত সেবার জন্য আবেদন দাখিল ও অনলাইনে ফি পরিশোধ করে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা ট্র্যাকিং করতে পারবেন এবং অনলাইনে সেবা পাবেন।
একপে
এক ঠিকানায় সব ধরনের বিল পরিশোধের সুবিধা নিয়ে এসেছে ‘একপে’ (https://ekpay.gov.bd/#/home)। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল, শিক্ষাসংক্রান্ত এবং অন্যান্য ফি সহজে এই পোর্টাল থেকে পরিশোধ করা যাবে। বিল দেওয়া যাবে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং, ডিজিটাল ওয়ালেট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ব্যাংকের শাখা, ডিজিটাল সেন্টার বা যেকোনো এজেন্ট পয়েন্ট থেকে। বিল দেওয়ার জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
একশপ
সহজে ও দ্রুত সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রেতার দোরগোড়ায় পৌঁছে
দিতে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) উদ্যোগ একশপ (www.ekshop.gov.bd) চালু হয়েছে। একশপের মাধ্যমে সহজে পণ্য বিকিকিনি করা যাবে। গ্রামীণ উৎপাদনকারীর পণ্য ই-কমার্স সাইটে রাখা যাবে এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে গ্রামীণ পণ্য কেনা যাবে। একশপে ১০ লাখের বেশি পণ্য থাকবে। পাশাপাশি ওষুধ, বই, পোশাক ইত্যাদি দেশের যেকোনো প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রায় চার হাজারের বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে একশপের মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।
বাংলাদেশের প্রায় সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, পোস্ট অফিস, পেমেন্ট সুবিধা, ইউডিসি নেটওয়ার্ক নিয়ে তৈরি হয়েছে একশপ। এর মাধ্যমে শুধু দেশেই নয়, বিদেশের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও বাজারজাত করতে পারবে পণ্য উৎপাদনকারীরা।
কারা সেবা পাবে
আইসিটি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এসব সেবা পরীক্ষামূলকভাবে ১০টি মিউনিসিপ্যাল অঞ্চলে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা) শুরু করা হয়েছে। ৩২৯টি মিউনিসিপ্যাল অঞ্চলকে এর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
কতজন সেবা পাবে
পাইলট প্রকল্প দিয়ে প্রায় ২০ লাখ নাগরিককে সেবা দেওয়া হবে। ২০২০ সালের মধ্যে ৩০০ পৌরসভায় সেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখানে আরও ডিজিটাল সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের অধিকাংশ নাগরিক তাদের হাতের ছোঁয়ার মাধ্যমেই সেবা পাবে, আর নয়তো আমাদের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে নিজেদের দোরগোড়ায় পাবে।