বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দুই দলের এটি দশম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। দুই দলের ৩৮ বছরের দ্বৈরথে মনে রাখার মতো পারফরম্যান্সের অভাব নেই। সেসব পারফরম্যান্সের অনেকগুলোই জায়গা পেয়ে গেছে রেকর্ড বইয়ে।
ওয়ানডেতে মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা
১০
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার আগের ৯টি সিরিজের মাত্র একটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। তবে সেই সিরিজই আবার অনুপ্রেরণা হতে পারে বাংলাদেশের। দুই দলের মুখোমুখি হওয়া সর্বশেষ সিরিজ যে সেটিই। ২০২১ সালে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। ৯টি সিরিজের ২টি হয়েছে ড্র।
২০০৬
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপে প্রথম দেখা হয় দুই দলের। টানা ১৫ ম্যাচ হারার পর ২০০৬ সালে বগুড়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জেতে বাংলাদেশ। এরপর আরও ৯ ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
৩৫৭
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস শ্রীলঙ্কার। ২০০৮ এশিয়া কাপে লাহোরে সনাৎ জয়াসুরিয়া ও কুমার সাঙ্গাকারার উদ্বোধনী জুটি ১৪.৫ ওভারেই তুলে ফেলে ১১৬ রান। ৪৭ বলে ৭২ রান করেন জয়াসুরিয়া। দলকে ২১১ রানে রেখে আউট হওয়া সাঙ্গাকারা করেন ৯১ বলে ১০১ রান। রান তাড়ায় ৭ উইকেটে ২২৬ রান তুলে ১৩১ রানে হারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৩২৪, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরের প্রথম ওয়ানডেতে। তামিম ইকবাল করেছিলেন ১২৭ রান। বাংলাদেশ ম্যাচটি জেতে ৯০ রানে।
১২০৬
দুই দলের ওয়ানডে লড়াইয়ে এক হাজার রান তিনজনের। ৩১ ম্যাচে ১ হাজার ২০৬ রান করে সবার ওপরে শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারার। ১ হাজার ৭২ রান নিয়ে দুইয়ে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিমের। এ ছাড়া হাজার রান আছে সনাৎ জয়াসুরিয়ার (১ হাজার ৩০)।
১৬১*
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটা শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশানের। ২০১৫ বিশ্বকাপে মেলবোর্নে ১৪৬ বলে ১৬১ রান করে অপরাজিত ছিলেন দিলশান। ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারাও। ১ উইকেটে ৩৩২ রান তোলা লঙ্কানরা বাংলাদেশকে ২৪০ রানে অলআউট করে ম্যাচটি জেতে ৯২ রানে।
১৪৪
বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মুশফিকুর রহিমের। ২০১৮ সালে দুবাইয়ে এশিয়া কাপে ১৪৪ রান করেছিলেন মুশফিক। ২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে ১৩২ রানের জুটি গড়া মুশফিক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন দলকে ২৬১ রানে রেখে। শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানে অলআউট করে ১৩৭ রানে জেতে বাংলাদেশ।
৫
দুই দলের ওয়ানডে লড়াইয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরি কুমার সাঙ্গাকারার। চারটি করে সেঞ্চুরি নিয়ে দুইয়ে তিলকরত্নে দিলশান ও সনাৎ জয়াসুরিয়ার। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি করে সেঞ্চুরি তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের।
৩১
১৭ ম্যাচে ৩১ উইকেটে নিয়ে দুই দলের ওয়ানডে লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট মুত্তিয়া মুরালিধরনের। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট মাশরাফি বিন মুর্তজার। ২২ ম্যাচে ২৬ উইকেট সাবেক অধিনায়কের।
৬/২৫
২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম তিন বলেই উইকেট নিয়ে অনন্য এক হ্যাটট্রিক করেন চামিন্ডা ভাস। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে সানোয়ার হোসেনকে আউট করে চতুর্থ উইকেটটিও পেয়ে যান লঙ্কান বাঁহাতি পেসার। পরে আরও ২ উইকেট নেওয়া ভাসের বোলিং বিশ্লেষণটা ছিল এমন, ৯.১-২-২৫-৬। ১২৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ। কোনো উইকেট না হারিয়েই ২১.১ ওভারে রানটা পেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
৩৬
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে লড়াইয়ে সবচেয়ে পরিচিত মুখ মুশফিকুর রহিম। ২০০৭ থেকে এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৬টি ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। ৩১ ম্যাচ নিয়ে দুইয়ে মাহমুদউল্লাহ ও কুমার সাঙ্গাকারা।
৩
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজে হ্যাটট্রিক আছে তিনটি। ২০০৩ বিশ্বকাপে চামিন্ডা ভাসের সেই অনন্য হ্যাটট্রিকের পর ২০১৭ সালে ডাম্বুলায় বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ ও ২০১৮ সালে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার শেহান মাদুশঙ্কা হ্যাটট্রিক করেন।