বাসা থেকে বেরিয়েই সালাহউদ্দিন বুঝলেন, এই গরমে ফুটবল খেলা সম্ভব নয়

গরমের হাঁসফাঁস সারা দেশে। এই অবস্থায় গরম এড়াতে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাফুফে। মেয়েদের ফুটবল লিগের ম্যাচ ফ্লাডলাইটের আলোতে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।

১৬ মাস পর আজ কমলাপুর স্টেডিয়ামে মেয়েদের ফুটবল লিগের উদ্বোধন করতে এসে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের সেটাই জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘যখন আমি মাঠে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখনই বুঝেছি এই আবহাওয়ায় এখন মানুষের পক্ষে ফুটবল খেলা সম্ভব নয়। তখনই সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলাম, কীভাবে এটা (ফ্লাডলাইটে ম্যাচ আয়োজন) করা যায়। সে বলল, বড় বাজেট লাগবে। ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি বললাম, বলো। বাজেট জোগাড় করে দিচ্ছি। খেলা রাতে হবে। খেলাও ভালো হবে।’

বেলুন উড়িয়ে মেয়েদের ফুটবল লিগ উদ্বোধন করেন কাজী সালাহউদ্দিন

ফ্লাডলাইটে ম্যাচ আয়োজন করলে টাকা কোথা থেকে আসবে প্রশ্নে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘দেখা যাক। গত দশ বছরে কোনো কিছু আটকে ছিল না। মেয়েদের টিম জাপান-সৌদি আরবসহ সব জায়গায় গেছে। অনুশীলন করেছে। যেখান থেকে হোক বাজেট জোগাড় করব আমরা।’

অথচ গতকাল বাফুফের নারী কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার জানিয়েছিলেন, তীব্র দাবদাহে আর্থিক সংকটের কারণে বাফুফের পক্ষে নাকি নারী লিগের ম্যাচ ফ্লাডলাইটে আয়োজন সম্ভব নয়। ৯ দলের সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে ম্যাচ মোট ৩৬টি।

বাফুফের দেওয়া সূচি অনুযায়ী, ১৯টি ম্যাচ ডে। তার মধ্যে ১৭ দিন দুটি করে ম্যাচ রাখা হয়। প্রথমটি সকাল সাড়ে ৯টায়, দ্বিতীয়টি বিকেল পৌনে চারটায়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকেল পাঁচটা ও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ম্যাচ হবে।

মেয়েদের ফুটবল লিগ আজ শুরু হয়েছে

আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিদ্যুৎ বিল দিলেও সম্প্রতি তারা বাফুফেকে জানিয়ে দিয়েছে, কমলাপুর স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনকে বহন করতে হবে এখন থেকে। ফ্লাডলাইট ব্যবহার করলে ম্যাচ প্রতি বাফুফের খরচ লাগবে ১৩ হাজার টাকা। এই টাকাই নাকি নেই বাফুফের! অন্তত মাহফুজা আক্তার তাই বলেছেন গতকাল।

অথচ হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটি ফ্লাডলাইটে আয়োজন করলে ১৭ ম্যাচের জন্য বাফুফের খরচ হতো ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। এই টাকার অভাবে গরমের মধ্যেই বাফুফের ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয় বিভিন্ন মহলে।

বাফুফে সভাপতি কী বিষয়টা জানতেন না বা জানলে কখন জানলেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে কাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন, ‘কাউকে দোষ দেওয়া যায় না। এটাই স্বাভাবিক ছিল। অফিস যা করেছে, ঠিক করেছে।’