নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বিশ্রামে। সাকিব আল হাসান ছুটি নিয়েছেন, অবসরে তামিম ইকবাল। দলে রাখা হয়নি মুশফিকুর রহিম। নুরুল হাসানের অধিনায়কত্বে ‘নতুন’ চেহারার বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে।
প্রথম আলোর সরাসরি আপডেটে আপনাকে স্বাগত!
প্রথম ম্যাচে টসে জিতেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকেই। ১৬ বার মুখোমুখি হয়ে ১১ বার জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আর কোনো দলকে ৫ বারের বেশি হারাতে পারেনি। ২০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি খেলেছে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
দেখে নিন বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে টি–টোয়েন্টি দ্বৈরথের দলীয় রেকর্ডগুলো—
জিম্বাবুয়ে একাদশ
রেজিস চাকাভা, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ওয়েসলি মাধেভেরে, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গোয়ে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা, টানাকা চিভাঙ্গা
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক, নাজমুল হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম
লেগ সাইড ঘেঁষা লাইনেই বল করে গেছেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম চারটি ডেলিভারির তিনটিই হয়েছে ওয়াইড। চতুর্থ বৈধ ডেলিভারিতে কাউ কর্নার দিয়ে তুলে চার মেরেছেন রেজিস চাকাভা। তাসকিনের করা প্রথম ওভারে উঠেছে ৮ রান।
দ্বিতীয় ওভারেই নাসুম আহমেদকে এনেছেন নুরুল। এ বাঁহাতি স্পিনার করেছেন আঁটসাঁট বোলিং-ই। কোনো বাউন্ডারি দেননি, তাঁর ওভারে এসেছে ৪ রান।
তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসা মোস্তাফিজকে তুলে মারতে গিয়েছিলেন চাকাভা, তবে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে টাইমিং ঠিকঠাক করতে পারেননি। বল উঠেছে আকাশে, মিডউইকেটে নাজমুল হোসেন ভুল করেননি। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
তাসকিন আহমেদ দিয়ে শুরু। এরপর নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেনের পর পঞ্চম ওভারে পঞ্চম বোলার হিসেবে শরীফুল ইসলামকে এনেছেন নুরুল হাসান।
বাংলাদেশ এ ম্যাচে খেলছে তিন জন পেসারের সঙ্গে স্বীকৃত একজন স্পিনার নাসুমকে নিয়ে। ফলে পঞ্চম ওভারের ৪ ওভারের জন্য মোসাদ্দেক ও আফিফের ওপর নির্ভর করতে হবে নুরুলকে।
৫ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩৬/১।
তৃতীয় ওভারে চাকাভাকে ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজ, পাওয়ারপ্লেতে স্বাগতিকেরা উইকেট হারায়নি আর। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে উঠেছে ৪৩ রান।
রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা মোসাদ্দেকের বলটা শর্ট লেংথেই ছিল। তবে নিচু হয়েছিল সেটি, গতির কাছেও পরাস্ত হয়েছেন ক্রেইগ আরভিন। ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে ঠিক নাগাল পাননি জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক, হয়েছেন বোল্ড।
পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের ওভারেই জিম্বাবুয়ে হারিয়েছে দ্বিতীয় উইকেট, ৪৩ রানে।
প্রথম ১০ ওভারে হয়েছে ২০টি ডট বল, তবে সাতটির বেশি চার মারতে পারেননি জিম্বাবুইয়ানরা। প্রথম ৬০ বলে এসেছে ৭৪ রান। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ৫ বোলারকেই ব্যবহার করছেন নুরুল, এখন পর্যন্ত ১ ওভারের চেয়ে বড় স্পেল করেছেন শুধু মোসাদ্দেক হোসেন।
১১তম ওভারে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আফিফ হোসেনকে এনেছেন নুরুল হাসান, পরের ওভারে ফেরানো হয়েছে নাসুমকে। তাঁর ওপর চড়াও হয়েছেন শন উইলিয়ামস। নাসুম প্রথম বল করেছিলেন ফুলটস, সেটিতে মিডউইকেট দিয়ে ইনিংসের প্রথম ছক্কা মারেন উইলিয়ামস। নাসুমের বলে পরে এসেছে আরও দুটি চার, দুটিই মেরেহচেন উইলিয়ামস। মাধেভেরের সঙ্গে উইলিয়ামসের জুটিতে উঠেছে ৫০ রান।
নাসুমের ওভারে উইলিয়ামস চড়াও হওয়ার পরই মোস্তাফিজকে আনলেন নুরুল। সফলও হলেন। ব্যাক অব দ্য হ্যান্ডের স্লোয়ারে এক্সট্রা কাভার দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন উইলিয়ামস, তবে ইনসাইড-এজে বোল্ড হয়েছেন ১৯ বলে ৩৩ রান করে। ভেঙেছে মাধেভেরের সঙ্গে তাঁর ৩৭ বলে ৫৬ রানের জুটি, জিম্বাবুয়ে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে ৯৯ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে নাসুম আহমেদ দিয়েছিলেন যথাক্রমে ১৬, ১৯ ও ৩৯ রান। তবে এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারে এ বাঁহাতি স্পিনার দিলেন ৩৮ রান। আলগা বল করেছেন, সেটির শাস্তিও পেয়েছেন।
১১তম ওভার শেষেও স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৮০ রান। জিম্বাবুয়ে এরপর ৫.২ ওভারে তুলেছে ৬৬ রান। উইলিয়ামস ফিরেছেন, তবে সিকান্দার রাজা ও মাধেভেরে এগিয়ে নিচ্ছেন স্বাগতিকদের।
১৭তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিন আহমেদকে চার মেরে ক্যারিয়ারের সপ্তম অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন মাধেভেরে। মাইলফলকে যেতে লেগেছে ৩৭ বল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যে একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন, দিয়েছিলেন ৪৬ রান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নেমেও খরুচেই থাকলেন তাসকিন। প্রথম ওভারেই ৩টি ওয়াইদ দিয়েছিলেন, এরপর লাইন লেংথ সেভাবে ঠিক করতে পারেননি তিনি। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪২ রান।
চার, ছয়, ছয়—শরীফুলের করা ১৯তম ওভারের প্রথম তিন বলে সিকান্দার রাজার স্কোরিং শট ছিল এমন। পরের ৩ বলে অবশ্য ৩ রানের বেশি দেননি শরীফুল। তবে ১ ওভার বাকি থাকতে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩ উইকেটে ১৮৬।
প্রথম ১০ ওভারে এসেছিল মাত্র ৭টি বাউন্ডারি, সব কটিই ছিল চার।
জিম্বাবুয়ে ইনিংস শেষ করল ২৩টি চার ও ৫টি ছয় নিয়ে।
ওয়েসলি মাধেভেরের অর্ধশতক, সিকান্দার রাজার ২৬ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংসে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ স্কোর তাদের, সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ২০০ বা এর বেশি রান তুলল তারা।
অফ স্টাম্পের বাইরে টসড আপ ডেলিভারিতে বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন মুনিম শাহরিয়ার। তবে নিয়ন্ত্রণ ছিল না তাতে কোনোই। শর্ট থার্ডম্যানে চিভাঙ্গার হাতে ধরা পড়ে ফিরেছেন মুনিম, ৮ বলে ৪ রান করেই। দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ২ ওভারে ৬/১।
তিনে নামা এনামুল হক ফ্রেমেই ছিলেন না। মিড অন থেকে সিঙ্গেল চুরি করতে গিয়ে রানআউট হতে ধরেছিলেন তিনি, অবশ্য লক্ষভেদ করতে পারেননি সিকান্দার রাজা। এ দফা বেঁচে গেছেন এনামুল।
তৃতীয় ওভার করতে আসা টানাকা চিভাঙ্গার ওভারে লিটন মেরেছেন দুইটি চার। প্রথমে শর্ট লেংথের বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে, এরপর এক্সট্রা কাভার দিয়ে। এ ওভারেই প্রথম বাউন্ডারির দেখা পেল বাংলাদেশ।
রিচার্ড এনগারাভার বলে প্রথমে ক্যাচের মতো তুলেছিলেন লিটন, তবে সেটি পড়েছে ফিল্ডারের নাগালের বাইরেই। এরপর দারুণ তিনটি শটে মেরেছেন তিনটি চার।
এ ইনিংসের পথে ষষ্ঠ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার রান হয়ে গেছে লিটনের। এর আগে এ কীর্তি গড়েছেন মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।
লিটনের তিনটি চারের সঙ্গে ওয়াইড থেকে এ ওভারে এসেছে আরও ৫ রান। এনগারাভা গুণেছেন ২১ রান।
বাংলাদেশ ৪৫/১, ৫ ওভার।
মুনিম শাহরিয়ারকে শুরুতেই হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। লিটন ও এনামুলের ব্যাটিংয়ে অবশ্য এরপর ভালোভাবেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে তারা তুলেছে ৬০ রান। প্রথম ৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ছিল ৪৩।
শন উইলিয়ামসের বলে স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলেছিলেন লিটন দাস। রিচার্ড এনগারাভা ক্যাচ নিয়েছিলেন, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। সেটি খেয়াল করেননি লিটন, নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা এনামুল হকের ডাকে সাড়া না দিয়ে হাঁটা ধরেছিলেন। আম্পায়াররা থামিয়েছেন তাঁকে।
তবে জিম্বাবুইয়ানরা ঠিকই সতর্ক ছিলেন। এনগারাভার থ্রো নিয়ে উইলিয়ামস যখন নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙেছেন, লিটন তখন ক্রিজের বাইরে। আদতে তো ড্রেসিংরুমের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি!
অন ফিল্ডে ক্যাচের জন্য ‘সফট সিগন্যাল’ নট আউট দিয়েছিলেন। টিভি আম্পায়ার অবশ্য লিটনকে দিয়েছেন রানআউটই। লিটন ফিরেছেন ১৯ বলে ৩২ রান করে। ভেঙেছে এনামুলের সঙ্গে তাঁর ৫৮ রানের জুটি।
আগের বলে ঠিক একই রকম শটেই ছয় মেরেছিলেন। পরের বলে সেটির পুনরাবৃত্তি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এনামুল হক। সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৭ বলে ২৬ রান করেছেন এনামুল। বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে ৮৫ রানের মাথায়। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮৬ রান।
আরেকটি উইকেট, আরেকটু চাপ বাড়ল বাংলাদেশের। লুক জঙ্গুয়ের শর্ট বলে টেনে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েছেন আফিফ হোসেন। ৮ বলে ১০ রান করেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
ক্রিজে এসেছেন নুরুল হাসান। তবে অধিনায়কত্বের অভিষেকে দলকে টেনে তুলতে দুর্দান্ত কিছুই করতে হবে তাঁকে। শেষ ৪২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৯৪ রান।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে টানা দুই ছক্কা মেরেছেন নুরুল, শেষ ২ ওভারে এসেছে ৩টি ছক্কা। উঠেছে ২৮ রান। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬৬ রান।
লুক জঙ্গুয়ের করা ১৬তম ওভারের প্রথম ৫ বলে আসেনি কোনো বাউন্ডারি। শেষ বলটা ছিল বাউন্সার, তুলে মারতে গিয়ে টপ-এজড হয়ে উইকেটকিপার রেজিস চাকাভার হাতে ধরা পড়েছেন নাজমুল। ২৫ বলে ৩৬ রান করেছেন তিনি। শেষ ২৪ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন এখন ৬০ রান।
১৭তম ওভারে উঠেছে ১৪ রান। চার, ফ্রি হিট—ছিল সবই। অবশ্য লেগ সাইডের একটি ফুলটসে বাউন্ডারির সুযোগ হাতছাড়া করেছেন নুরুল। শেষ ১৮ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪৬ রান।
জঙ্গুয়ের ওভারের প্রথম বলে বড় ছক্কায় শুরু করেছিলেন নুরুল। জঙ্গুয়ে এরপর নো বলও করেছেন। তবে এরপরও উঠেছে ১৪ রান। শেষ ১২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩২ রান।
রিচার্ড এনগারাভা করতে এসেছিলেন ১৯তম ওভার। দায়িত্ব স্বাভাবিকভাবেই ছিল বড়।
এনগাভারা প্রথম চারটি বলই করলেন ব্লকহোলে, ওই ৪ বলে এসেছে মাত্র ২ রান। পঞ্চম বলে লো ফুলটসে ক্যাচ তুলেছিলেন নুরুল, সেটি অবশ্য নাগালের বাইরেই পড়েছে। এরপর একটি ওয়াইড করেন এনগারাভা।
শেষ বলটি সামনে এসে খেলতে চেয়েছিলেন মোসাদ্দেক। লো ফুলটসে স্ল্যাশ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ধরা পড়েন তিনি। রিচার্ড এনগারাভা ১৯তম ওভারে দিলেন মাত্র ৪ রান। শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৮ রান!
শেষ ওভারে প্রয়োজন ২৮ রান। সমীকরণটা শুধু কঠিন নয়, ছিল প্রায় অসম্ভব। দ্বিতীয় বলে লেগ বাই থেকে চারের পর তৃতীয় বলে ছয় মেরেছিলেন নুরুল। তবে টানাকা চিভাঙ্গা ফিরে এসেছেন ভালোভাবেই। তাঁর শেষ ওভারে বাংলাদেশ নিতে পেরেছে ১০ রান।
২০৬ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেমেছে ১৮৮ রান করেই। ফলে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হেরেছে ১৭ রানে। নুরুল খেলেছেন ২৬ বলে ৪২ রানের ইনিংস, তবে দলকে পার করাতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।