বিরাট কোহলি ও বাবর আজম মুখোমুখি হচ্ছেন আবার
বিরাট কোহলি ও বাবর আজম মুখোমুখি হচ্ছেন আবার

বাবর–কোহলির মধ্যে কাকে বল করা বেশি কঠিন—উত্তর দিলেন রশিদ খান

এশিয়া কাপে বাবর আজম–বিরাট কোহলিকে আটকানোর মতো বোলার আছে? ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, সাকিব আল হাসানদের নাম বলতে পারেন অনেকে। তবে রশিদ খানের নামটাই বেশি আসবে। তারকা বোলার হিসেবে এবারের এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনারের চেয়ে বড় আর কে আছেন!

ক্রিকেটপ্রেমীদের হিসাব অনেকটাই এমন। বাবর এমনিতেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন, কোহলি ফর্মে থাকলেও রানে ফিরতে তো একটা ইনিংসই যথেষ্ট। ব্যাটিংয়ে মোটামুটি এ দুজনকেই এগিয়ে রাখছেন সবাই। তাঁদের মধ্যে কাকে বল করতে বেশি সমস্যা হয় রশিদ খানের? পাকিস্তানের এক সংবাদকর্মীর সঙ্গে আলাপচারিতায় এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আফগান তারকা।

এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপে আফগানিস্তানের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ‘এ’ গ্রুপে হংকংয়ের সঙ্গে আছে ভারত এবং পাকিস্তান। অর্থাৎ সুপার ফোরে উঠতে না পারলে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের সম্ভাবনা নেই আফগানিস্তানের। সে ক্ষেত্রে, রশিদ খান বাবর ও কোহলির মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাবেন না। তবে ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারত–পাকিস্তানের সুপার ফোরে ওঠার সম্ভাবনা যেমন অনেক বেশি, তেমনি আফগানিস্তানের সম্ভাবনাও কম নয়। তাই এখনই অনেকে দিব্যদৃষ্টিতে বাবর–রশিদ ও কোহলি–রশিদের লড়াই দেখতে পাচ্ছেন।

এখনই অনেকে দিব্যদৃষ্টিতে বাবর–রশিদ ও কোহলি–রশিদের লড়াই দেখতে পাচ্ছেন

টি–টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে এর আগে বাবর–কোহলির মুখোমুখি হয়েছেন রশিদ খান। তাঁদের বিপক্ষে বল করা কতটা কঠিন এবং দুজনের মধ্যে কাকে বল করা বেশি কঠিন—এ নিয়ে মুখ খুলেছেন আফগান তারকা। তবে নির্দিষ্ট করে কারও নাম তিনি বলেননি। জানিয়েছেন, দুজনকে বল করাই খুব কঠিন। একটি বাজে ডেলিভারিও ছাড়েন না তাঁরা।

রশিদ খান বলেছেন, ‘আমার কাছে দুজনকে বল করাই সমান কঠিন। তাঁরা যে ধরনের ব্যাটসম্যান, একটি বাজে বলও ছাড়েন না। তাই আমার কাছে দুজনকে বল করাই কঠিন, তবে আমি চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি। তাঁদের দুজনকে একটি বাজে বল করারও ইচ্ছে নেই আমার। আমি ভালো জায়গায় বল ফেলার চেস্টা করব।’

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই লেগ স্পিনার জানিয়েছেন, বাবর, কোহলি, কেইন উইলিয়ামসনের মতো ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল করেই তাঁর দক্ষতা আরও বেড়েছে, ‘বাবর ও কোহলিকে বল করা মজার অভিজ্ঞতা, আমার জন্য শেখার সুযোগও। যেমন ধরুন, সানরাইজার্স হায়দরাবাদে কেইন উইলিয়ামসনকে বল করার পর আমরা দুজনে বোলিং নিয়ে অনেক কথা বলেছি। তাঁর পরামর্শগুলো আমার কাজে লেগেছে। আইপিএলেও বিরাটের সঙ্গে কথা হয়েছে, একই কথা বাবরের জন্যও খাটে।’