চট্টগ্রামের হয়ে সেঞ্চুরি করেন সাজ্জাদুল
চট্টগ্রামের হয়ে সেঞ্চুরি করেন সাজ্জাদুল

সাজ্জাদুল ও ইফতিখারের প্রথম, মেহেদীর ৫

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৮৫ ম্যাচ খেলেও সেঞ্চুরি নেই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৯ ম্যাচের ৩২ ইনিংসে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৯৫ রানের। সেই সাজ্জাদুল হক ৩৪ বছর বয়সে এসে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সেঞ্চুরির আক্ষেপ মেটালেন। কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ২ নম্বর মাঠে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে চট্টগ্রামের ক্লাব ক্রিকেটের চেনা মুখ সাজ্জাদুল খেলেছেন ১৩৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল পারভেজ হোসেনেরও। কিন্তু তিনি রানআউট হয়ে গেছেন ৯৫ রানে।

কক্সবাজারেরই আরেক মাঠে সেঞ্চুরি (১১৬) করেছেন বরিশালের ইফতিখার হোসেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁরও এটি প্রথম সেঞ্চুরি। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম খুলনার ৩৭৬ রানের জবাবে ২১০ রানে অলআউট হওয়ার পর ফলোঅনে পড়েছে ঢাকা মহানগর। খুলনার অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান ৫ উইকেট নিয়েছেন। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুর–সিলেটের ম্যাচে বোলারদের দাপট চলছেই। দ্বিতীয় দিন শেষে রংপুর এগিয়ে ৩৫ রানে।

কক্সবাজারে সেঞ্চুরি করেন ইফতিখার

সাজ্জাদুলের সেঞ্চুরি

চট্টগ্রামের ব্যাটিংটা কেমন হবে, তা আগের দিনই আঁচ করা যাচ্ছিল। কক্সবাজারে প্রথম দিন শেষ বিকেলে হওয়া মাত্র ২৬ ওভারেই ১০৭ রান তুলে ফেলে চট্টগ্রাম। ওপেনার পারভেজ ও তিনে নামা সাজ্জাদুল আগের দিনের গতিতে রান তুলেছেন আজও। পারভেজ ৯৫ করে রানআউট হয়ে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। সাজ্জাদুল ১৮৫ বল খেলে করছেন ১৩৯ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাজ্জাদুলের প্রথম সেঞ্চুরির সৌজন্যে চট্টগ্রাম ৯৮ ওভারে করেছে ৩৭১ রান। দিন শেষে ঢাকা বিভাগ ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে করেছে ২২ রান।

ইফতেখারের সেঞ্চুরি

আরও একটি ব্যাটিং ধসের দিকেই এগোচ্ছিল বরিশাল। রাজশাহীর পেসার আলী মোহাম্মদের বোলিংয়ের সামনে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। সেখান থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি করে বরিশালকে ২০৫ রানে নিয়ে যান ইফতেখার হোসেন। সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই ব্যাটসম্যান একাই করেছেন ২০৫ বলে ১১৬ রান। ১২টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ইনিংসে। আলী মোহাম্মদ নিয়েছেন ৪ উইকেট।

খুলনার হয়ে ৫ উইকেট নেন শেখ মেহেদী

শেখ মেহেদীর ৫

আগের দিনের জোড়া সেঞ্চুরিতে খুলনা বিভাগ প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান পেয়ে যায়। ঢাকা মহানগর তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২১০ রানে। অধিনায়ক মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। খুলনার অফ স্পিনার শেখ মেহেদী ৬২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর অষ্টম ৫ উইকেট। ১৬৬ রানে পিছিয়ে থাকা মহানগরকে আবারও ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা। শেষ বেলায় ১.৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২ রান করেছে মহানগর।

বগুড়ায় চলছে বোলারদের দাপট

সিলেট ও রংপুর—দুই দলেরই ব্যাটিং অধারাবাহিক, কিন্তু বোলিং দুর্দান্ত। খেলাও হচ্ছে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের সবুজ উইকেটে। তৃতীয় রাউন্ডে দুই দলের ম্যাচে যা হওয়ার ঠিক তাই হচ্ছে। গতকাল সিলেটের তিন পেসার খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান ও আবু জায়েদের বোলিংয়ে ১৫৮ রানে অলআউট হয়েছে রংপুর। আজ সিলেট থেমেছে ১৮৯ রানে। দলের অধিনায়ক অমিত হাসান ৫৭ রান করেছেন। তাঁর সৌজন্যে সিলেট ৩১ রানের লিড পায়। জবাবে রংপুর তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়েছে। দিন শেষে রংপুর এগিয়ে ৩৫ রানে, হাতে আছে ৫ উইকেট।