কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে মেসির সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন আলী আল-বুলায়হি
কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে মেসির সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন আলী আল-বুলায়হি

যে ভয়ে মেসির সামনে যেতে চান না সৌদি ডিফেন্ডার

লিওনেল মেসি সৌদি আরবের ক্লাবে যাবেন কি না, তার কোনো ঠিক নেই। তবে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত যদি সৌদি আরবে যানই, তবে সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে আল হিলাল ক্লাবের নামটিই বেশি শোনা যাচ্ছে। সেই আল হিলালের ডিফেন্ডার আলী আল-বুলায়হি ‘ভয়’ পাচ্ছেন, মেসি তাঁদের ক্লাবে যোগ দিলে ক্লাব ছাড়তে হতে পারে তাঁকে। মেসিই নাকি আল-বুলায়হিকে বের করে দিতে বলবেন!

কেন, সেটার পেছনে মজার এক কারণের কথা বলেছেন আল-বুলায়হি। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব ম্যাচে মেসির সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন আল-বুলায়হি। সে ঘটনা উল্লেখ করে আল-বুলায়হির রসিকতা, ‘জানি না কী হবে। তবে আমি ভয়ে আছি, তিনি (মেসি) যদি বলে বসেন, “আমি ৫ নম্বর খেলোয়াড়টাকে দেখতে চাই না।” আমি জানি না মেসি আসবেন কি না। তবে যদি আসেনই, আল্লাহ আমাকে রক্ষা করুন।’

জাতীয় দলের পাশাপাশি আল হিলালেও ৫ নম্বর জার্সি পরে খেলেন আল–বুলায়হি

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘এসবিসি’কে ৩৩ বছর বয়সী বুলায়হি হাসতে হাসতে আরও বলেন, ‘তিনি যদি আসেনই, আল্লাহ ভরসা। আমি প্রথম দুই দিন তাঁর সামনেই আসব না। দূর থেকে আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। তত দিনে তিনি হয়তো আমার কথা ভুলে যাবেন।’

২০২২ বিশ্বকাপে মেসিরা শুরু করেছিলেন সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে কম বিরক্ত করেননি আল-বুলায়হি। সেই আল-বুলায়হি নিশ্চিত করেছেন, বিশ্বকাপে মেসির সঙ্গে আরবিতেই কথা বলেছেন তিনি! মেসিকে নাকি বলেছিলেন, ম্যাচ যতই লম্বা হোক না কেন, সৌদিদের হারাতে পারবেন না মেসি।

সেই ম্যাচে মেসিকে নাকি একটুও ভয় পাননি এই সৌদি ডিফেন্ডার। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে লুইস সুয়ারেজ ও এদিনসন কাভানির মতো দুই স্ট্রাইকারের বিপক্ষে খেলেই নাকি সেই ভয় দূর হয়েছিল।

সৌদি আরবের বিপক্ষে সে ম্যাচে হেরেছিল আর্জেন্টিনা

২০১৮ সালের সেই ম্যাচটা আল-বুলায়হির আত্মবিশ্বাস কতটা বাড়িয়ে দিয়েছিল, সেটি পরিষ্কার তাঁর পরের কথাতেই, ‘উরুগুয়ের সেই ম্যাচের পর, এমনকি তিনজন মেসির মুখোমুখি হতেও আমি ভয় পাই না। মেসি তো কিংবদন্তি, তাঁকে নিয়ে কথা নাই–বা বললাম, তার ওপর তিনি এখানে আসতেও পারেন। তিনি কিংবদন্তি, তবে শেষ পর্যন্ত তো এটা “১১ জনের বিপক্ষে ১১ জনের” লড়াই।’