মনে হচ্ছে বেশ হতাশই হয়েছেন করিম বেনজেমা।
ফিফার বর্ষসেরা ‘দ্য বেস্ট’ ট্রফি জয়ের আশায় ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি তারকা করিম বেনজেমা। বিশেষ করে গত বছর ব্যালন ডি’অর জয়ের ধারাবাহিকতায় এবার ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ নিয়েও আশার জাল বুনেছিলেন। কিন্তু পুরস্কারটি উঠেছে লিওনেল মেসির হাতে।
গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো এবারের ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কারে যে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে, সেটি না বললেও চলছে। বেনজেমা দ্বিতীয় স্থানেও নেই। ফ্রান্স জাতীয় দলে তাঁরই একসময়ের সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পের পর তৃতীয় অবস্থানে বেনজেমা।
কাতার বিশ্বকাপের পর ফ্রান্সের জার্সিকে বিদায় বলা বেনজেমা পেয়েছেন ৩৪ ভোট। এমবাপ্পে ৪৪ ভোট। ৫২ ভোট পেয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটি পেয়েছেন মেসি। বেনজেমার কাছে সম্ভবত ব্যাপারটি মোটেও ভালো লাগেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বিভিন্ন পোস্ট দেখে ব্যাপারটি আন্দাজ করে নেওয়া যায়।
গত দুই মৌসুম ধরেই রিয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন বেনজেমা। গত মৌসুমে রিয়ালকে ইউরোপ–সেরা বানাতে তাঁর অসামান্য ভূমিকা ছিল। ২০২২ সালে গোল করেছেন ৩১টি। মেসি ‘বেস্ট’ ট্রফি জয়ের পর বেনজেমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অর্জনের একটা তালিকা পোস্ট করেন।
ইনস্টাগ্রামে একটা মিমও পোস্ট করেন ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পরপরই। সেখানে এক ব্যক্তিকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘মিথ্যুক! তুমি একটা বড় মিথ্যুক!’ এরপর নিজের একটি সাদা–কালো সেলফি পোস্ট করে ক্যাপশন লেখেন, ‘শুভ রাত্রি সবাইকে!’
বেনজেমার এসব ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখে সবাই ধারণা করছেন, তিনি ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কার নিয়ে সন্তুষ্ট নন। এ পুরস্কারের ভোটাভুটি নিয়ে এবার যথেষ্ট বিতর্ক চলছে। অস্ট্রিয়া জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে দেওয়া ডেভিড আলাবার ভোট নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকেরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছে আলাবাকে। রিয়াল সমর্থকদের ক্ষোভ আলাবা কেন সতীর্থ বেনজেমাকে না করে মেসিকে ভোটে নিজের প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করা নিয়ে বেনজেমার আলাদা একটা পরিচিতি আছে। চোটের কারণে কাতার বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। ফাইনালের আগে গুঞ্জন উঠেছিল, বেনজেমাকে স্কোয়াডে ফিরিয়ে আনা হতে পারে। কিন্তু সেটি আর হয়নি। বেনজেমা তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘আমার আগ্রহ নেই।’ এরপরই ফ্রান্স জাতীয় দল ছাড়েন বেনজেমা।