বল স্টাম্পের দিকে যাচ্ছিল না, বরং বেশ দূরেই ছিল। তবু কেন মুশফিকুর রহিম অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট হলেন, নিজেদের ওয়েবসাইটে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি।
মিরপুরে আজ ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ১৪৬ বছরের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো ব্যাটসম্যানের আউটের ধরনের ঘরে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড লেখা হলো। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৪১তম ওভারে এভাবে আউট হয়ে স্কোরটাকে ১০৪/৫ বানিয়ে দেন মুশফিক। পরে ১৭২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান কাইল জেমিসনের করা বলকে ডিফেন্ড করার পর ডান হাত বাড়িয়ে বলটা ধরতে যান। বল তখন স্টাম্প থেকে অনেক দূরেই ছিল, তবে সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই বলের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন মুশফিক। এরপর যা হলো তাতে মুশফিক শুধু হতভম্বই হয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা আপিল করলেন, অন ফিল্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেওয়ার ভার তৃতীয় আম্পায়ার বা টিভি আম্পায়ারের কাছে পাঠিয়ে দেন। রিপ্লে দেখে টিভি আম্পায়ারের মনে হয়েছে, মুশফিক ইচ্ছে করেই বলটাকে থামিয়েছেন। এরপর আউট দেন তিনি।
২০১৭ সাল থেকে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউটের ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। হালনাগাদ করা ক্রিকেট আইনে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের ধারায় কী লেখা, সেটি এখানে দেওয়া হলো।
ব্যাটসম্যান যদি বল খেলার মধ্যে থাকাকালে ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বা কাজের মাধ্যমে ফিল্ডিং দলকে বাধা দেন কিংবা মনোযোগ নষ্ট করেন, তবে আউট হবেন। তবে ৩৭.২ ধারা মতে, চোট থেকে বাঁচতে এমন কিছু করলে ব্যাটসম্যান আউট হবেন না।
৩৭.১২
বোলার বল করার পর ব্যাটসম্যান যদি যে হাতে ব্যাট ধরা নেই সেই হাত দিয়ে বলে আঘাত করেন বা ছুঁয়ে সরিয়ে দেন তবে আউট ঘোষিত হবেন (ব্যতিক্রম ৩৭.২ ধারা)। সেটি প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা আরও পরে ছোঁয়ার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বল খেলার সময় যেমন তেমনি এরপর ব্যাটসম্যান কিংবা নন স্ট্রাইবার ব্যাটসম্যান উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করার সময়েও এই আইন প্রযোজ্য।
যেহেতু বল খেলার মধ্যেই ছিল আর মুশফিক ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ বলটাকে হাত দিয়ে দূরে সরিয়েছেন, তাই তাঁকে আউট ঘোষণা করা হয়।
২০১৭ সালে আইন পরিমার্জনের পর মুশফিকই প্রথম অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট হলেন। এর আগে ছেলেদের টেস্ট ইতিহাসে মুশফিকের মতো এমন কাণ্ড করে সাতজন ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট হয়েছেন।