প্রত্যাবর্তনের পর জোকোভিচ
প্রত্যাবর্তনের পর জোকোভিচ

বিরতি নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পেপ টকের ফলই জোকোভিচের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন

ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডেই এমন কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা নোভাক জোকোভিচ নিজেও হয়তো প্রত্যাশা করেননি। অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই জোকোভিচের বিদায়ঘণ্টা প্রায় বাজিয়েই দিয়েছিলেন স্বদেশি লাসলো জেরে। প্রথম দুই সেটেই জিতে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন জোকোভিচকে। তবে জোকোভিচের হার না মানা প্রত্যয় এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি লাসলো। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর লাসলোকে বিদায় নিতে হয়েছে ৩–২ সেটে হেরে।

ক্যারিয়ারে অনেকবার পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃষ্টান্ত আছে জোকোভিচের। এমনকি ২–০ সেটে পিছিয়ে পড়ার পরও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে জোকোভিচ ম্যাচ জিতেছেন সব মিলিয়ে ৮ বার, যার শেষটি আজ আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে। যেখানে প্রথম দুই সেটে ৬–৪ ও ৬–৪ গেমে পিছিয়ে পড়েন জোকোভিচ।

এ সময় অনেকে তাঁর বিদায়ও দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় সেটের পরই যেন ঘুম ভাঙে জোকোভিচের। পরের দুই সেটে প্রতিপক্ষকে পাত্তাই দেননি। ৬–১ ও ৬–১ গেমে জিতে সমতা ফেরান ম্যাচে। এরপর শেষ সেটেও ছিল জোকোর দাপট। ৬–৩ গেমে উড়িয়ে দেন লাসলোকে।

জিততে না পারলেও স্বদেশি মহাতারকা জোকোভিচের কাছ থেকে প্রশংসাটুকু ঠিকই আদায় করে নিয়েছেন লাসলো। জোকোভিচ বলেছেন, ‘এটা কয়েক বছরের মধ্যে আমার খেলা সবচেয়ে কঠিন ম্যাচগুলোর একটি। লাসলোকে অনেক কৃতিত্ব দিতে হয়। কারণ, আজ সে আমার দেখা তার টেনিসটুকু খেলেছে।’

চেষ্টা করেও জোকোভিচের সঙ্গে পারেননি স্বদেশী লাসলো

নিউইয়র্কে এদিন দ্বিতীয় সেটের পরই বিরতি নেন জোকোভিচ। সেই বিরতিই মূলত নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে তাঁকে। ম্যাচ শেষে জোকোভিচ বলেন, ‘আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পেপ টক করেছি। আমি নিজের ওপর হেসেছিলাম। কারণ, নিজের খেলায় নিজেই খুব বিরক্ত ছিলাম। আমি এরপর জোর করে নিজেকে জাগিয়ে তুলি।’

আর জোকোভিচের এই জেগে ওঠাই শেষ পর্যন্ত কাল হয়েছে লাসলোর। ২৮ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না। চতুর্থ রাউন্ডে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়ার বোর্না গোজো। র‍্যাঙ্কিংয়ের ১০৫ নম্বরে থাকা গোজো ফ্ল্যাশিং মিডোয় ৬–৪, ৬–৩ ও ৬–২ গেমে হারিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের জিরি ভেসেলিকে।