ইউএস ওপেনের শীর্ষ বাছাই তিনি। কিন্তু ইয়ানিক সিনারের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে কথা হচ্ছে কমই। হবেইবা কীভাবে, ডোপিং-কেলেঙ্কারিতে যে নাম এসেছে তাঁর। কিছুদিন আগে জানা যায়, এ বছরের শুরুতে দুবার ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়েছিলেন সিনার। তবে সেই ঘটনায় তদন্ত শেষে সিনারের ফিজিওথেরাপিস্টের ওপর দায় চাপিয়ে খেলার অনুমতি দেওয়া হয় সিনারকে। ইউএস ওপেনের আগে সেটি নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়।
সেই সব বিতর্ককে পেছনে ফেলে ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিনার। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন পুরুষ এককের তৃতীয় বাছাই কার্লোস আলকারাজও। মেয়েদের বিভাগের শীর্ষ বাছাই ইগা সিওনতেক ও দুবারের চ্যাম্পিয়ন নাওমি ওসাকাও উঠেছেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। তবে হেরে গেছেন আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন এমা রাদুকানু। তবে এই সব তারকাদের ছাপিয়ে দ্বিতীয় দিনে রেকর্ড গড়া এক ম্যাচ খেলেছেন ড্যানিয়েল ইভান্স ও কারেন খাচানভ।
বাংলাদেশ সময় কাল রাতে যুক্তরাষ্ট্রের অখ্যাত ম্যাকেঞ্জি ম্যাকডোনাল্ডের কাছে প্রথম সেটে হেরে গেলেও দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের তিনটি সেট জিতে নেন সিনার। সব সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসা সিনার জিতেছেন ২-৬, ৬-২, ৬-১, ৬-২ গেমে।
রড লেভার ও রাফায়েল নাদালের পর উন্মুক্ত যুগে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ফ্রেঞ্চ ওপেন, উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন জয়কে পাখির চোখ করা আলকারাজ হারিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার লি তুকে। ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ ৬-২ গেমে প্রথম সেটটা জিতলেও দ্বিতীয় সেটে ৪-৬ গেমে হেরে যান বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা তুর কাছে। তবে পরের দুটি সেট ৬-৩, ৬-১ গেমে জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যান টেনিসের ভবিষ্যৎ স্প্যানিশ তারকা।
পাঁচ সেটে গড়ানো ম্যাচের শেষ সেটে ০-৪ গেমে পিছিয়ে পড়েছিলেন ড্যানিয়েল ইভান্স। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে এই ম্যাচে রাশিয়ার কারেন খাচানভকে হারিয়েছেন ব্রিটিশ খেলোয়াড় ইভান্স। আর সেটি করতে গিয়ে উন্মুক্ত যুগে ইউএসে ওপেনে সবচেয়ে দীর্ঘ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও গড়েছেন ইভান্স।
অবাছাই ইভান্স ৫ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের মহাকাব্যিক এক ম্যাচে ২৩তম বাছাই খাচানভকে হারিয়েছেন ৬-৭ (৬/৮), ৭-৬ (৭/২), ৭-৬ (৭/৪), ৪-৬, ৬-৪ গেমে। ম্যাচের প্রতিটি সেটই শেষ হতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। আগের রেকর্ডটি ছিল স্টেফান এডবার্গ ও মাইকেল চ্যাংয়ের। ১৯৯২ সালে পুরুষ এককের সেমিফাইনালে ৫ ঘণ্টা ২৬ মিনিট লড়াই শেষে ৬-৭, (৩/৭), ৭-৫. ৭-৬ (৭/৩), ৫-৭, ৬-৪ গেমে জেতেন সুইডিশ তারকা এডবার্গ।